TV9 Bangla Digital | Edited By: ঋদ্ধীশ দত্ত
Aug 31, 2021 | 4:49 PM
নয়া দিল্লি: প্রায় ৯০০ টি পরিবারের স্বপ্নের আবাসন তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ বার ধ্বংসের মুখ দেখবে উত্তর প্রদেশের নয়ডা নগরীর উপকণ্ঠে থাকা ৪০ তলার নির্মীয়মাণ দুটি বহুতল। নির্মাণের আইন অনুসরণ না করায় সুপারটেক নামক রিয়েল এস্টেট সংস্থার এই দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই দুটি টাওয়ার মিলিয়ে অন্তত ৯০০ টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে খবর। যদিও তা আপাতত ধুলোয় মিশতে চলেছে।
বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত এই মামলায় ২০১৪ সালেও একই নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ দিন সুপ্রিম কোর্টও সেই নির্দেশের উপরই সিলমোহর দিল। শীর্ষ আদালতের আজকের রায়ের পর নির্মাণকারী সংস্থা যদিও জানিয়েছে যে এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাবে। কিন্তু এ দিনের শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এমআর শাহ যেভাবে তীব্র ভর্ৎসনা করেছেন, তাতে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েও লাভ হবে কি না সংশয় রয়েছে।
কারণ দুই বিচারপতিই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অশুভ আঁতাতের জোরে বেআইনিভাবে এই নির্মাণকাজ চলছিল। যারা এখানে ঘর কিনেছিলেন তাঁদের ২ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ৪০ তলা বিশিষ্ট দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলতে হবে। বহুতল দুটি ভাঙার পুরো খরচই সুপারটেক নামক রিয়েল এস্টেট সংস্থাকেই বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতিরা।
সূত্রের খবর, ৪০ তলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩২ তলা পর্যন্ত কাজ হয়ে গিয়েছিল, এবং প্রায় ৬৩৩ জন ফ্ল্যাট বুকও করে ফেলেছিলেন। এদের মধ্যে ২৪৮ জন টাকা ফেরত নিয়েছেন, ১৩৩ জন অন্য বহুতলে ফ্ল্যাট নিয়েছেন। কিন্তু ২৫২ জন এখনও অপেক্ষা করছিলেন আদালতের পক্ষ থেকে কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসার।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে কড়া ভাষায় ধমক খেল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ