Bangla News Photo gallery The country was divided into two part, there were 2 presidents, know all about American Civil War in 1861
American Civil War: দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল দেশ, ছিল ২ প্রেসিডেন্ট! আমেরিকার গৃহযুদ্ধের চরম পরিণতি কী হয়েছিল জানেন?
American Civil War: গৃহযুদ্ধের কারণে সেই মার্কিন মুলুকেই ধরেছিল ফাটল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকা, তৈরি হয়েছিল দুটি দেশ। দুই ভাগে ভাগ দেশের যা আকৃতি হয়েছিল তা আজকের আমেরিকার ১/৪ ভাগের কম।
1 / 10
১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বর ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কমিউনিস্ট সুপার পাওয়ারের পতন দেখেছিল গোটা বিশ্ব। ১৪টি টুকরো হয়েছিল সেই দিনের সোভিয়েত ইউনিয়নের। আর পৃথিবীর অন্যতম বড় শক্তি হিসাবে নিজের জায়গাটা আরও পোক্ত হয়েছিল আমেরিকার।
2 / 10
আপনি কি জানেন এই ঘটনার ঠিক ১৩০ বছর আগে, একবার দু'ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। সময়টা ১৮৬১ সাল, ৩৪টি রাজ্য নিয়ে ছিল তখনকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আজকের মতো ৫০ রাজ্য নিয়ে নয়। গৃহযুদ্ধের কারণে সেই মার্কিন মুলুকেই ধরেছিল ফাটল।
3 / 10
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকা, তৈরি হয়েছিল দুটি দেশ। দুই ভাগে ভাগ দেশের যা আকৃতি হয়েছিল তা আজকের আমেরিকার ১/৪ ভাগের কম। প্রায় পাঁচ বছর এই ভাবেই দুটি ভাগে বিভক্ত চিল আমেরিকা। এই যাবৎকাল পুরো সময়টা জুড়ে যুদ্ধ চলে দুই দেশের মধ্যে, যা আমেরিকার গৃহযুদ্ধ নামে পরিচিত।
4 / 10
১৮৬১ সালে ভেঙে পড়ে আমেরিকান ইউনিয়ন। দক্ষিণের ১১টি রাজ্য একত্রিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আমেরিকান ইউনিয়ন থেকে। গঠন করে কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকা। নতুন দেশের প্রেসিডেন্ট হন জেফারসন ডেভিস। মিসিসিপি নিবাসী জেফারসন ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন।
5 / 10
আমেরিকান ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করা ১১টি রাজ্যের মধ্যে ছিল দক্ষিণ ক্যারোলিনা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া, লুইসিয়ানা, টেক্সাস, ভার্জিনিয়া, আরকানসাস, টেনেসি এবং উত্তর ক্যারোলিনা। নিজস্ব সরকার গঠন করে এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি।
6 / 10
বিগত কয়েক বছর ধরেই উত্তর এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলির ক্রমবর্ধমান তিক্ততাই ফেটে পড়ে ১৮৬১ সালে। মূলত আমেরিকার দাসত্ব নীতিকে কেন্দ্র করে চরমে ওঠে বিরোধ। এছাড়াও সংবিধানের ব্যাখ্যা, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক নানা মতভেদের কারণে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
7 / 10
প্রাথমিকভাবে, ১১টি রাজ্যের মধ্যে ৬টি ভেঙে বেরিয়ে যায়। দক্ষিণ ক্যারোলিনা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, আলাবামা, জর্জিয়া এবং লুইসিয়ানা থেকে নেতারা এবং স্টেকহোল্ডাররা ১৮৬১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মন্টগোমারি, আলাবামাতে মিলিত হন। সেখানেই আমেরিকান ইউনিয়ন থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদেরকে কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকা একটি নতুন দেশ বলে অভিহিত করে।
8 / 10
রিচমন্ড, ভার্জিনিয়াকে নতুন দেশের রাজধানী বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার একমাস পরেই ভেঙে যায় টেক্সাস, যোগ দেয় নতুন দেশে। আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়লে আরকানসাস, নর্থ ক্যারোলিনা, টেনেসি এবং ভার্জিনিয়া যোগ দেয় কনফেডারেট স্টেটস অব আমেরিকায়।
9 / 10
প্রাচীন বর্বর দাসপ্রথার অবলুপ্ত করার জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটাই ছিল মূল ইস্যু। নির্বাচনে জয় পান আব্রাহাম। বেশিরভাগ দেশবাসী চাইলেও এই ১১টি রাজ্য তখনও দাসপ্রথা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল। আব্রাহামের ভোটে জয়ের পরেই নতুন আমেরিকা গড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এই রাজ্যগুলি।
10 / 10
যুদ্ধের শেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কনফেডারেট রাজ্যগুলিকে হারিয়ে ফের ১১টি রাজ্যের উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। এক দশক আগে ১৮৪৮ সালে মেক্সিকোর কাছ থেকে যুদ্ধে জিতে নেওয়া রাজ্য মিলিয়ে মোট ৪৮টি রাজ্য নিয়ে হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পরে তাতে যোগ হয় আলাস্কা এবং হাওয়াই। এই ৫০ রাজ্য নিয়েই আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যার প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকানের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। (সব ছবি - Getty Images)