TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস
Jan 05, 2022 | 7:10 PM
দিঘা: বর্ষবরণের উল্লাসে মেতেছিলেন মানুষ। দিঘা (Digha) উপচে পড়েছিল পর্যটকে। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই ধাক্কা। ফের করোনা কাঁটায় কার্যত লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তাই জানুয়ারির পাঁচ তারিখে দেখা গেল দিঘা সৈকত কার্যত পর্যটকশূন্য।
রাজ্যে ওমিক্রমের বাড়বাড়বাড়ন্তে আবারও কোপ পড়ল পর্যটন শিল্পে। সৈকত শহর দিঘা যেন আজ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। দু' তিন দিন আগে যেখানে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। সেই জায়গা কার্যত গবাদি পশু চলাচলের জায়গায় পরিবর্তিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ, দিঘা থানা ও রামনগর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রশাসনের নির্দেশিকা অমান্য করার গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। নতুন বছর ভালভাবে কাটবে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানবেন ও নিজেদের পরিবারের স্বার্থে এমনটা ভাবাই যায়। এদিকে সরকারি নির্দেশ আংশিক লকডাউনের ফলে কার্যত মাঠেই মারা গেল ভরা পর্যটনের মরসুম। মাথায় হাত পড়েছে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে সমুদ্র পাড় ঘেঁষে নানা পসরা সাজানো ছোট্ট দোকানিদের।
কিন্তু সরকারি নিয়ম তো মেনে চলতেই হবে। তার পর এমন ভয়াবহ করোনা চিত্র। রামনগর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও বিষ্ণু পদ রায় বলেন, "সরকারি যা নির্দেশ রয়েছে, তা আমরা মেনে চলছি। দিঘায় সমুদ্রে পর্যটকদের স্নান করা নিষেধ''। বন্ধ রয়েছে জিম, সেলুন, পার্ক। দিঘা, নিউ দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি কার্যত পর্যটক শূন্য এখন। আর যাঁরা রয়েছেন তাঁরা যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন তার জন্য ব্লক ও স্বাস্থ্য দফতর সচেতন। পুরো বিষয়ের উপর চলছে কড়া নজরদারি। দিঘায় আগত কলকাতার যাদবপুরের বাসিন্দা পার্থ ও সুস্মিত চক্রবর্তী খেদের সুরে বলছেন, "চারদিনের বুকিং করে দিঘা এসে ছিলাম। কিন্তু সরকারি নির্দেশে দু' দিন আগেই সি-বিচ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কী আর করব, হোটেলের ঘরে বসে দিন কাটল। আজ ফেরার পালা"।