থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন পৃথিবীর অন্তত ২০ শতাংশ মানুষ। থাইরয়েডের সমস্যায় খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ সচেতন হতে হয়। বাইরের খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার যতবেশি এড়িয়ে চলা যায়, ততই ভাল। তার সঙ্গে চুমুক দিন এই ৭ পানীয়তে।
প্রোবায়োটিকে সমৃদ্ধ টকদইয়ের তৈরি ঘোল। এই পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। একইভাবে, থাইরয়েডের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে ঘোল। এছাড়া সুস্থ মানুষের মধ্যেও হাইপোথাইরয়েডিজ়মের ঝুঁকি কমিয়ে দেয় এই পানীয়।
প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে পান করুন। হলুদ মেশানো দুধ আমাদের দেহে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি হাইপোথাইরয়েডিজ়মের চিকিৎসায় দারুণ উপযোগী।
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার যেমন ওজন কমায়, তেমনই থাইরয়েডের হরমোনের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। এক গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
বাদামের তৈরি দুধও থাইরয়েডের চিকিৎসায় দারুণ উপকারী। আমন্ড, কাজু, আখরোটের মতো উপাদান দিয়ে যে সব দুধ তৈরি হয়, তার মধ্যে ফ্যাট থাকে না। বাদামের তৈরি দুধ আপনি মিল্কশেক, স্মুদি এবং যে কোনও উপায়ে খেতে পারেন।
বিট ও গাজরের তৈরি রস থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকারী। এই রসের মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, লাইকোপেনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিট ও গাজরের রস সবসময় তাজা বানিয়ে পান করবেন।
ভেষজ চা থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকারী। ভেষজ চায়ের উপাদান হিসেবে আপনি অশ্বগন্ধা ও শতবরী ব্যবহার করতে পারেন। এসব ভেষজ উপাদানের তৈরি চা সকালে খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগলে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়াই ভাল। তবে, আপনি গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টিয়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপযুক্ত। গ্রিন টিও সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন।