
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই শাক-সবজি রাখুন। শাক-সবজি পুষ্টিতে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ২ কাপ সবজি অবশ্যই খান।

শরীর হাইড্রেট থাকলে অনেক সমস্যাই কমে যায়। তাই নিয়মিত ২-৩ লিটার জল পান করুন। এতে মাইগ্রেন কিংবা মাথার যন্ত্রণার মত রোগও আপনাকে ছুঁতে পারবে না।

সুস্থ থাকার জন্য ঘুম খুব জরুরি। রাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হয়, তাহলে দুর্বলতা, ক্লান্তি দেখা দেয়। এর সঙ্গে ডায়বেটিস, অ্যানজাইটির মত সমস্যাও দেখা দেয়। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো আমাদের সবার পক্ষে জরুরি।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের সঙ্গে ঘুম যেন গাঢ় হয় সেই খেয়ালও রাখতে হবে। এর জন্যও জীবনধারায় আনতে হবে পরিবর্তন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে কোনও রকম ফোন, ল্যাপটপ ঘাঁটবেন না। এতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে আপনার ওপর।

সুস্থ থাকার জন্য সচল থাকা বেশি জরুরি। নিয়মিত ৩০ মিনিট করে যোগব্যায়াম করুন। এমন কোনও নিয়ম নেই যে জিমেই যেতে হবে আপনাকে। আপনার পছন্দমত যে কোনও কাজ আপনি করতে পারেন। যেমন জুম্বা, যোগাসন, জগিং, রানিং, সুইমিং, ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম এমনকি গান চালিয়ে নিজের মত করে নাচতেও পারেন আপনি।

জীবনে সমস্যা থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। মানসিক চাপ, কাজের চাপ সব কিছুই প্রভাব ফেলে আপনার স্বাস্থ্যে। অ্যানজাইটি, ডিপ্রেশনের সমস্যা আজকাল প্রায়ই দেখা যায়। এর জন্য নিজেকে চাপ মুক্ত রাখুন।

মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন, অ্যানজাইটির মত সমস্যা থেকে নিজেকে বার করার জন্য আশেপাশে থাকা মানুষ, কোনও বন্ধু কিংবা কোনও সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে মানুষের থেকে সাহায্য চান। এটা কোনও দুর্বলতার লক্ষণ নয়। বরং এতে আপনিই সুস্থ ও সুখী বোধ করবেন।

নিজেকে ভাল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল নিজের পছন্দ মত কাজ করা। আপনার যে কাজটা করতে ভাল লাগে, দিনে বা সপ্তাহে একবার হলেও সেটি করুন। অবসর সময়ে বই পড়ুন, ছবি আঁকুন, গাছের পরিচর্চা করুন। এতে আপনার মনও ভাল থাকবে এবং আপনি সুস্থ বোধ করবেন।