ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করার আগেই ওমিক্রনের দাপট থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে চাইছেন সকলেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইমিউনিটি শক্তিশালী হলে আপনি সংক্রমণের ভয়াবহতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
এখন ঋতুও পরিবর্তন হচ্ছে। ঘরে ঘরে সর্দি-কাশির সমস্যা লেগে রয়েছে। সব মিলিয়ে এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই একমাত্র উদ্দেশ্য। এর জন্য আপনাকে ডায়েটের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।
প্রতিদিন মরশুমি ফল খান। ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় যা ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। পেয়ারা, আপেল, কলা, স্ট্রবেরি, কমলালেবু, কিউই ইত্যাদি খেতে পারেন।
শীতে যে সব শাক-সবজি পাওয়া যায় সেগুলো ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়। এগুলো খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই ডায়েটে ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, মেথি শাক, টমেটো, রাঙা আলুর মতো আনাজ রাখুন।
ভুট্টা, ওটস, গম, বাজরা, আটার তৈরি খাবার খান। গোটা শস্যের খাবারে ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। ফিট থাকার জন্য এই পুষ্টিগুলোও শরীরের জন্য অপরিহার্য।
প্রোটিন গ্রহণের দিকেও আপনাকে নজর দিতে হবে। মুরগির মাংস, ডিম, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন হিসেবে ডাল, সোয়াবিন খান। তবে চেষ্টা করুন মাটন এবং অন্যান্য রেড মিট কম পরিমাণে গ্রহণ করার।
ভাজাভুজি খাবার, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস এড়িয়ে চলুন। যে সব খাবারে চিনির পরিমাণ বেশি সেগুলো না খাওয়াই ভাল। এর বদলে রোস্টেড মাখানা, কাজু, আমন্ড, তাজা ফল ইত্যাদি খান।
দিনে পাঁচ গ্রামের বেশি নুন ব্যবহার করবেন না। একইভাবে খাবারে কোন তেল ব্যবহার করছেন সেদিকেও খেয়াল রাখুন। অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এছাড়া ঘি, চিজ, মাখন বুঝে শুনে ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীর জলশূন্য হয়ে গেলে আপনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। জল শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।