Nepal: পৃথিবীর বুকেই রয়েছে একচিলতে স্বর্গ! তার প্রমাণ পেতে খুব দূরে নয়, হাতের কাছেই রয়েছে সেই দেশের খোঁজ
Heaven on Earth: এই ছোট দেশেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান।
দেশটির আয়তন খুব ছোট হলেও এর বৈচিত্র ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোনও দেশের ভূমিরূপকে গোলে গোলে পাঁচ গোল দিয়ে দেবে। হিমালয়ে ঘেরা এই সুন্দর ও প্রাচীন দেশটির উত্তরে চিন, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে রয়েছে ভারত।
এই ছোট দেশেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান। আরও মজাদার হল, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য নেপালে প্রবেশ করতে পারেন।
পোখরা: অন্নপূর্ণা পর্বতশৃঙ্গের প্রবেশদ্বার। নেপালের অত্যন্ত সুন্দর ও ছোট্ট শহর। বরফাবৃত পাহাড়ে ঘেরা এই শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
পেহওয়া লেক: পোখরার অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এই লেক থেকে সারা সারি মাথা উঁচু করে থাকা পর্বতগুলিকে একসঙ্গে দেখা যায়। এছাড়া পুরো লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে রঙবেরঙের বোট।
কাঠমান্ডু শহরের মধ্যে রয়েছে শহরের অন্যতম আকর্ষণ বৌদ্ধনাথ স্তূপা। কালারফুল প্রেয়ার পতাকায় ঢেকে থাকায় এথানকার মাহাত্ম্যটাই পাল্টে যায়।
ইউনেস্কো ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্গত পশুনাথ মন্দির হল নেপালের অন্যতম বড় আকর্ষণ। ১৬ শতকে নির্মিত এই মন্দিরটিকে ঘিরে রয়েছে নানা পৌরাণিক কাহিনি।
নেপালের আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে ল্যাংটাং উপত্যকায়। ভ্যালি ও পর্বতে ঘেরা এই এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্যে আপনাকে মুগ্ধ করবে, গ্যারান্টি।
বৌদ্ধ মঠ ও স্তূপা, অসাধারণ পার্বত্য এলাকার সৌন্দর্যে ডুবে থাকতে হলে বার বার হেলাম্বুতে যেতেই হবে পর্যটকদের।
নেপালে যাবেন, আর এভারেস্টকে মুগ্ধ হয়ে চোখ ভরে দেখে আসবেন না, তা কি করে হয়। ট্রেকিং করার ইচ্ছে থাকলে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের বেস ক্যাম্প পর্যন্ত যেতে পারেন। অন্তত এভারেস্টে ওঠার প্রথম ধাপ জয় করলেই মনটা আনন্দে ভরে যাবে।
ফটোগ্রাফারদের স্বর্গরাজ্য। পর্বতে ঘেরা নেপালের বিউটি ক্যামেরাবন্দি করতে হলে অন্নপূর্ণা উপত্যকায় যেতেই হবে। অন্যতম সুন্দর জায়গাগুলির থেকে এই এলাকার প্রকৃতি যেন সবসময়ই হাতছানি দেয়।