Rabindranath Tagore: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে এই ৭টি তথ্য জানেন কি?
৮০ বছর আগে মহাপ্রয়াণ ঘটেছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কাল, রবিবার ২২শে শ্রাবণ। উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। এবছর তাঁর ৮১তম মৃত্যুদিবস।
১. ভারত, তথা গোটা বিশ্বকে অমূল্য সম্পদ দান করে গিয়েছেন ঠাকুর। দিয়ে গিয়েছেন তাঁর অনবদ্য সৃষ্টি - গান, কবিতা, উপন্যাস, নৃত্যনাটিকা, ছোট গল্প। সারা বিশ্বে তিনি বরেণ্য।
২. সাহিত্যে তাঁর সৃষ্টির জন্য প্রথম ভারতবাসী হিসেবে রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯১৩ সালে। বিশ্বভারতীর সেফ্টি ভল্টে রাখা ছিল সেই অনন্য সম্মান। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই, যে ২০০৪ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল চুরি হয়ে যায়। পরবর্তীকালে সুইডিশ অ্যাকাডেমি নোবেলের দুটি রেপ্লিকা দিয়েছিল বিশ্বভারতীকে। একটি সোনা দিয়ে তৈরি। অন্যটি তৈরি তামা দিয়ে।
৩. এক চিন্তাবিদ ছিলেন রবিঠাকুর। বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয় তাঁর দর্শন। তাঁর চিন্তাভাবনা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে একবার সাক্ষাৎ ঘটে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের। ঈশ্বর, মনুষ্যত্ব, বিজ্ঞান, সত্য ও সৌন্দর্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ কথোপকথন হয়। কেমন ছিল সেই আলোচনা, জানতে চাইলে পড়তে পারেন অনলাইনেও।
৪. ব্রিটিশরা তাঁকে 'নাইট' উপাধিতে ভূষিত করে ১৯১৫ সালে। কয়েক বছর পর ভারতের বুক রক্তাক্ত হয় জালিয়ানওয়ালাবাগ কাণ্ডে। ব্রিটিশের গুলিতে প্রাণ হারান অসংখ্য নিরীহ মানুষ। সেই ভয়াবহ, পাশবিক ঘটনার প্রতিবাদে 'নাইট', অর্থাৎ 'স্যার' উপাধি ত্যাগ করেছিলেন কবিগুরু।
৫. রবিঠাকুরের ৮টি মিউজিয়াম রয়েছে। ৩টি ভারতে ও ৫টি বাংলাদেশে। ভারতে মিউজিয়াম রয়েছে রবিঠাকুরের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে, সেটি রবীন্দ্রভারতী মিউজিয়াম নামেই পরিচিত। শান্তিনিকেতনে রয়েছে রবীন্দ্রভবন মিউজিয়াম। কালিম্পঙের কাছে মংপু নামের একটি জায়গায় রয়েছে রবীন্দ্র মিউজিয়াম।
৬. পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর চাইতেন আইন নিয়ে লেখাপড়া করুন রবীন্দ্রনাথ। ইংল্যান্ডের ব্রিংটন পাবলিক স্কুলে ভর্তিও হয়েছিলেন তিনি। স্কুলে যেতেন না। মন বসাতে পারতেন না সেই পড়ায়। শেক্সপিয়রের নাটক নিয়ে চর্চা শুরু করেছিলেন।
৭. অনেক বেশি বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের হঠাৎ শখ হল আঁকাআঁকি করবেন। শুরু করে দিলেন। রং-তুলি তুলে নিলেন হাতে। সেই ছবির প্রদর্শনীও হয়েছিল। তবে ছোট বয়সেও ছবি আঁকার চেষ্টা করেছিলেন কবি। কিন্তু সেটা তাঁর তেমন পছন্দ হয়নি। নিজের ছবি আঁকার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে জগদীশচন্দ্র বসুকে চিঠি লিখেছিলেন ১৯০০ সালে। লিখেছিলেন, পেনসিলের চেয়ে তাঁকে ইরেজার ব্যবহার করতে হয়েছে বেশি।