শরীরকে সুস্থ রাখতে বাকি সব মিনারেল এবং ভিটামিনের পাশাপাশি প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হওয়াও একান্ত প্রয়োজন। আর এই কারণেই রোজের ডায়েটে যাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার থাকে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আর তার জন্যই বেশি করে খাওয়া খেতে হবে বাদাম, বিশেষত কাজু, সেই সঙ্গে টফু এবং সবুজ শাক-সবজি।
রোজের ডায়েটে দই-দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবারকে জায়গা করে দিলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হতে সময় লাগে না। তাই তো প্রতিদিন একবাটি দই এবং এক গ্লাস করে দুধ খাওয়া মাস্ট। কিন্তু যদি এমন খাবার খেতে মন না চায়, তাহলে হয় পনির, নয়তো ব্রকলি অথবা পালং শাকের মতো সবজি খেতে ভুলবেন না।
তাজা ফল থেকে রস বানিয়ে খেলে শরীরের নানা উপকার হয় ঠিকই। কিন্তু জুসের পাশাপাশি যদি স্মুদিও খাওয়া যায়, বিশেষত, পিনাট বাটার, নারকেলের দুধ, তিসি বীজ, ওটস, কুমড়োর বীজ এবং বাদাম যোগ করে তৈরি স্মুদি নিয়মিত খেলে ভিটামিন এবং ফাইবারের চাহিদা তো মেটেই, সেই সঙ্গে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হতেও সময় লাগে না।
মাছ-মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিলে অনেক সময় ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়, যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালে খবর নয়। তাই তো ভেজিটেরিয়ান খাবার খাওয়া শুরু করলে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার কথা বলে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেওয়া শুরু করতে পারেন।
হঠাৎ করে মাছ-মাংস বন্ধ করে দেওয়াটা একেবারেই উচিত নয়। তাতে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। তাই ধীরে ধীরে রোজের ডয়েট থেকে মাছ-মাংসকে বাদ দিতে হবে। আর তার জায়গায় বেশি করে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারকে জায়গা করে দিতে হবে।