নারী ও পুরুষ উভেরই গলব্লাডারের যন্ত্রণার সমস্যা দেখা যায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন নান পুরুষদের তুলনায় নারীদের পিত্তথলিতে পাথর বা স্টোন হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
পিত্তথলি হল শরীরের এমন একটি অঙ্গ যেটি হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারে। এটি পাচনতন্ত্রের মধ্যে পিত্তের রস নির্দত করে। এটি অন্ত্রের মধ্যে দিয়ে যাওয়া চর্বি ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে। তখন রক্তকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষ করতে সাহায্যও করে।
তবে এই প্রক্রিয়ায় কোনও রকম বাধা পড়লে তখন নানান সমস্যা দেখা যায়। গলব্লাডারে স্টোন থেকে সংক্রমণ পর্যন্ত হতে পারে। গলব্লাডার ইনফেকশনের লক্ষণ হল পেটের উপরের, ডানদিকের ব্যথা হতে পারে। এটি প্রদাহের কারণে ঘটে।
পিত্তথলিতে ব্যথার অন্যান্য উপসর্গগুলি হল, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, জ্বর। এই ব্যথা সাধারণত ওষুধ দিয়ে চিকিত্সা করা হয়, তবে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই সেই ওষুধ খান।
গলব্লাডারের তীব্র ব্যথার উপশম করতে মুঠো মুঠো ওষুধের নয়, প্রাকৃতিকভাবেও উপশম করা সম্ভব। সেইগুলি কী কী ভাবে করবেন, তা জেনে নিন এখানে...
পেপারমিন্ট চা:এতে রয়েছে মেন্থল, যা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন দ্রুত। শুধু তাই নয়, পেপারমিন্ট চা পেটের ব্যথা ও হজমের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
হিট কম্প্রেস ব্যবহার করুন: গলব্লাডারে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে গরম তাপ প্রয়োগ করতে পারেন। তাতে দারুম আরাম পাবেন। একই সঙ্গে হিটিং প্যাডও ব্বহার করতে পারেন।
হলুদ: এটি প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। এই মশলাটি সংক্রমণ ও পাথর তৈরির কারণে ব্থা ও প্রদাহ থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
খাদ্যাভাসের পরিবর্তন: প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ফ্যাট ও শর্করা বেশি রয়েছে এমন খাবার পিত্তথলিতে ইনফেকশন ও পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। রোজকার ডায়েটে এই সব খাবারগুলি আগে বাদ দিন। তার পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করুন। যেমন সবুজ শাক-সবদি, বাদাম, ব্রাউন রাইস, মাছ, আমন্ড ইত্যাদি।