Historical Zamindar Houses: আমাদের আশেপাশে এমন অনেক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি আছে যেগুলো দেখলে তাক লেগে যায়…
TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়
Dec 07, 2021 | 1:55 PM
সারাবিশ্বে ইতিহাস সাক্ষী এমন স্থানের জায়গা কম নয়। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী এসব স্থান আজো অপেক্ষায় ভ্রমণপ্রিয় মানুষের। তাই সুযোগ পেলেই দেখে আসতে পারেন দেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু জমিদার বাড়ি।
1 / 6
বেতিলা জমিদারবাড়ি বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার বেতিলায় অবস্থিত। এ বাড়ির সঠিক ইতিহাস তথ্যগত অভাবের কারণে তেমন জানা যায়নি। বেতিলার মাঝখানে বয়ে গেছে বেতিলা খাল। ব্যবসা ও যাতায়াতের জন্য বেতিলা খাল বেঁছে নেন বড় বড় বণিকরা। লোককথায় জানা যায়, জ্যোতি বাবু নামের এক বণিক ছিলেন এই জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষ। জমিদার বাড়িটি সবুজে ঘেড়া। প্রাসাদটির সৌন্দর্য মুগ্ধ করে তুলে জনসাধারণদের।
2 / 6
বালিয়াটি প্রাসাদ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের ১৯ শতকে নির্মিত অন্যতম প্রাসাদ। একে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি বা বালিয়াটি প্রাসাদ বলেও ডাকা হয়। মোট সাতটি স্থাপনা নিয়ে এই জমিদার বাড়ি অবস্থিত। যদিও সেখানকার সবগুলো ভবন একসঙ্গে স্থাপিত হয়নি। এই প্রাসাদের অন্তর্গত বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত করেছিলো। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর।
3 / 6
করটিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত করটিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। “আটিয়ার চাঁদ” নামক গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, আফগান অধিপতি সোলায়মান খান পন্নী কররানির ছেলে বায়েজিদ খান পন্নী ভারতে আগমন করেন। তার পুত্র সাঈদ খান পন্নী আটিয়ায় বসতি স্থাপন ও ১৬০৮ খ্রিঃ সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে আটিয়ার বিখ্যাত মসজিদ নির্মাণ করেন। এই বংশেরই ১১তম পুরুষ সা'দত আলী খান পন্নী টাঙ্গাইলের করটিয়ায় এসে পন্নী বংশের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন।
4 / 6
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি জমিদার বাড়ি। জমিদার সুবিদ্ধা খাঁ-র হাত ধরে নাগরপুরে চৌধুরী বংশ জমিদারি শুরু করেন। এই বংশের প্রথম পুরুষ যদুনাথ চৌধুরী প্রায় ৫৪ একর জমিতে তার জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। তবে নাগরপুরের জমিদার বাড়ির সুখ্যাতি ছড়ায় তৃতীয় পুরুষ উপেন্দ্র মোহনের ছেলে সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরীর শাসনে।
5 / 6
মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত। এখানে আছে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিচিহ্ন। এ প্রাসাদেই নজরুল, প্রমীলা দেবীর প্রেমে পড়েন। বাড়িটির পাশেই ছিলো প্রমীলার বাড়ি। ইতিহাসবিদদের মতে, ১৭শ শতকে জমিদার পঞ্চানন সেন বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন। তিনি দিনাজপুর অঞ্চলে তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।
6 / 6
হরিপুর জমিদার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রায় ১৭৫ বছর পূর্বে ১৮শ শতাব্দীতে জমিদার গৌরী প্রসাদ রায় চৌধুরী ও কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী (১৮৭০-১৯৩৬) জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন। তিতাস নদীর পূর্ব পারে অবস্থিত এই জমিদার বাড়ি। হরিপুরে অবস্থিত বলে অনেকে হরিপুর বাড়িও বলে থাকেন। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ঘেটুপুত্র কমলাও এ জমিদার বাড়িতেই হয়েছিলো। ত্রিতল বিশিষ্ট জমিদার বাড়িটি ঐতিহাসিক যুগের শৈল্পিক নৈপুণ্যের স্বাক্ষর বহন করে।