অল্পেতেই তুষ্ট মহাদেব। শিবরাত্রির দিন নারী-পুরুষ উভয়ই শিবলিঙ্গের উপর দুধ, জল, ডাবের জল, ফুল ও বেলপাতা অর্পণ করে শিবের পুজো করে থাকেনষ সারাদিন উপোস করে নিষ্ঠাভরে পালন করে থাকেন শিবভক্তরা। তবে অনেকেই পারেন না সারাদিন উপবাস রাখতে।
সনাতন ধর্মে মনে করা হয়, প্রত্যেক ভক্তের জন্য মহাশিবরাত্রি উৎসব অত্যন্ত বিশেষ। এই বিশেষ দিনে দেবী পার্বতীর সঙ্গে মহাদেবের বিয়ে হয়েছিল। এদিনে ভগবান শিবও জ্যোতির্লিঙ্গ অবতারে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শিব পুরাণ অনুসারে, ভোলেনাথের আশীর্বাদ পেতে ও সব কাজে সাফল্য পেতে, মহাশিবরাত্রির দিন বিভিন্ন ফুল নিবেদন করা উচিত।
এদিন শুধু শিবলিঙ্গ পুজো করা হয়, তাই নয়, বহু জায়গায় পার্বতী ও শিবের মূর্তিকেও পুজো করা হয়ে থাকে। এদিন বিশেষ রীতিতে মহাশিবরাত্রি পুজো করা হয়। সারাবছর সাফল্য ও উন্নতি পেতে ভোলেনাথকে কোন কোন ফুল নিবেদন করা উচিত, তা জেনে নিন এখানে...
আকন্দ ফুল: শিব পুরাণ অনুসারে, মোক্ষলাভ পেতে মহাশিবরাত্রির দিন ভগবান শিবকে লাল বা সাদা আকন্দ ফুল অর্পণ করতে পারেন। শিবকে সাধারণত দুধ-ঘি-মধু মাখিয়ে স্নান করানো নিয়ম। আর পুজোয় ফুল তো চাই-ই চাই। ভোলেনাথের সবচেয়ে ফুল হল আকন্দ, নীল অপরাজিতা ও হলুদ রঙের কলকে ফুল।
জুঁই ফুল: যদি দীর্ঘদিন ধরে একটি গাড়ি বা বাইক কেনার প্ল্যান করে থাকেন বা গাড়ি কেনায় নানা বাধা আসতে শুরু করেছে, তাহলে মহাশিবরাত্রির দিন মহাদেবকে জুঁই ফুল অর্পণ করা উচিত। শিবলিঙ্গ স্নান করানোর পর ভক্তরা যদি জুঁই ফুল অর্পণ করুন, তাহলে মনের ইচ্ছে পূরণ হতে পারে।
তিসি ফুল: মহাদেবের পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে চাইলে শিবলিঙ্গের মাথায় তিসির ফুল নিবেদন করতে পারেন। শিবলিঙ্গ স্নান করিয়ে ভক্তিভরে পুজো দিলে এই ফুল অবশ্যই নিবেদন করতে পারেন।
লজ্জাবতী ফুল: লজ্জাবতী ফুল হল শনির ভীষণ প্রিয় একটি ফুল। এই ফুল ভগবান শিবেরও একটি পছন্দের ফুল। তাই মহাশিবরাত্রির দিন ভোলেনাথকে তুষ্ট করতে শমী ফুল নিবেদন করা উচিত। তাতে শিবের আশীর্বাদের পাশাপাশি শনিদেবেরও আশীর্বাদ পাওয়া সম্ভব হয়।
যদি আর্থিক সঙ্কট এবং খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীনে পড়েন, তাহলে মহাশিবরাত্রির দিন শিবকে জুঁই ফুল অর্পণ করা। তাতে সংসারে খাদ্য়ের ভাণ্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকবে, অর্থের অভাব হবে না। কাজেই পুজোতে ফুল অর্পণ করা থেকে ভুললে হবে না।