দীর্ঘ সাত বছর পর গুজরাটের সুরাটে বসেছিল জাতীয় গেমসের আসর। এত দিন পর জাতীয় গেমসের মঞ্চে নেমেই মাত করেছে বাংলা। প্রথমে পঞ্জাব তার পর আয়োজক গুজরাটকে হারান নরহরি শ্রেষ্টারা। এর পর কর্নাটককে হারিয়ে জাতীয় গেমসে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলা।
গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে পঞ্জাবকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলা। তারপর গুজরাটের বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে জেতে বাংলার ছেলেরা। পরপর দু'টি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলা। এক ম্যাচ হাতে রেখে সেমিতে উঠেও, জয়ের স্বাদ পেয়েছ বাংলা। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে কর্নাটককে ৩-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় বাংলা।
৩৬ তম জাতীয় গেমসে একটি ম্যাচেও হারের তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয়নি বিশ্বজিৎ হেমব্রম, তারক হেমব্রম, বাসুদেব মান্ডিদের। সেমিফাইনালে সার্ভিসেসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলা।
জাতীয় গেমসে ফুটবলের ফাইনালের মঞ্চে কেরলের মতো শক্তিশালী দলের মুখে নামে বাংলা। যে বাংলা ফাইনালের আগে টানা চারটে ম্যাচে জিতেছে, তারা যে ফাইনালেও চমক দেখাবেন তা নিয়ে এক প্রকার আলোচনা হচ্ছিল।
ফাইনালে শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে ৫-০ ব্যবধানে এক পেশে জয় অর্জন করে বাংলা। সোনার পদক জিতে নিয়ে বাংলাকে গর্বিত করেছেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের (বাংলার কোচ) বেছে নেওয়া রত্নরা।
জাতীয় গেমসের আগে ভালো করে প্রস্তুতির সময়ও পাননি বাংলার ফুটবলাররা। তবে কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য দলের ছেলেদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন, তাঁরাও সোনা জিতে সেই ভরসার মান রাখেন।