কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এখন চারিদিকে। সে কর্মক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোনও কাজে। মাঝে মাঝে যেমন সেই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজন্স বা এআই অত্যন্ত কাজে আসে তেমনই বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যখন সেই এআই মজা করার মুডে করার থাকে তখন তো আরও বেশি।
বর্তমানে জিবলি ছবির ছড়াছড়ি চারিদিকে। সকলেই নিজের বা নিজের বন্ধু-বান্ধব সঙ্গীর সঙ্গে ছবিকে এআই সাহায্যে করে তুলছেন কার্টুনের মতো। ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন ৮-৮০। কিন্তু একবার ভাবুন তো এআই যদি আপনার সঙ্গীকে অদ্ভুত দেখতে কোনও প্রাণী বানিয়ে দেয় তখন?
তেমনটাই কিন্তু হয়েছে বেশ কিছু ব্যক্তির সঙ্গে। যেমন ধরুন এই ছবিতেই, নিজের সঙ্গীর সঙ্গে বিশেষ ছবিটিকে জিবলি দিয়ে কার্টুন বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখুন প্রেমিকাকে নাকি সাপ বানিয়ে দিয়েছে এআই। তা আবার ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
এই ছবিটার কথা ভাবুন একবার। বাঙালির চিরন্তন প্রিয় উৎসব দূর্গাপুজো। তার আগে কুমোরটুলিতে গিয়ে ছবি তুলেছিলেন যুগলে। একে অপরের দিকে কি সুন্দর প্রেম ভরা দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন। এদিকে এআই-এর বুদ্ধি দেখুন! প্রেমিক কিনা সোজা অসুর বানিয়ে দিয়েছে!
কথা বলে বিয়ে 'দিল্লি কা লাড্ডু'। খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন। তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এই নব দম্পতি। নিজের বিয়ের ছবিকে জিবলি বানানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এআইকে। একি কনের হাতের বিয়ের 'জোর'কে সোজা ফুটফুটে শিশু বানিয়ে দিয়েছে। যেন তাঁদের সন্তান। এরপরেই সমাজ মাধ্যমে ট্রোলে ভরে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে।
প্রেমের আরেক নিদর্শন এই ছবি। শাড়ি-পাঞ্জাবিতে প্রেমে ডগমগ যুগল। অথচ এআই-এর মশকরাটা দেখুন। প্রেমিককে নাকি সোজা বাঁদর বানিয়ে দিল! বিষয়টা যতটা হালকা ভাবছেন তা কিন্তু মোটে নয়। বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।
সাইবার বিশেষজ্ঞ সাম্যজিৎ মুখোপাধ্যায় বলছেন একটা ছবি আমাদের কাছে শুধু ছবি হলেও তা নয়। একটা ছবি দিয়েই হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে যান। ডেটা বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্মার্টফোনের লক খোলা থেকে শুরু করে ক্যামেরা পারমিশন জেনে যেতে পারে হ্যাকাররা।
কেউ কেউ বলছেন ওপেন এআই হয়তো এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আরও প্রশিক্ষিত করে তুলছে। চেহারার প্রতিটা দাগ রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে। বাড়তে পারে আপনার ছবিকে নিয়ে অপব্যবহার। বিজ্ঞাপনের জন্য আপনার মুখ বেচে দিতে পারে ডেটা ব্রোকাররা। তাই সাবধান! মজা করুন, তবে কীসের মূল্যে ভেবে নিন।