Mother Teresa Birth Anniversary: শান্তি আর ভালবাসায় সুন্দর হয় পৃথিবী! ভাল মনের মানুষ হতে মাদার টেরিজার এই ১০ বাণী মেনে চলুন

বিশ্বের অসংখ্য গৃহহীন ও অভাবী মানুষের জন্য তিনি ছিলেন একমাত্র আশার আলো। মানুষের জন্য তাঁর জীবন উত্‍সর্গ, ভালোবাসা ও যত্ন করার লক্ষ্যে দেশ ও ধর্মের কোনও বাধঁনে আবদ্ধ থাকেননি তিনি।

Mother Teresa Birth Anniversary: শান্তি আর ভালবাসায় সুন্দর হয় পৃথিবী! ভাল মনের মানুষ হতে মাদার টেরিজার এই ১০ বাণী মেনে চলুন
মাদার টেরিজা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 4:59 PM

পৃথিবীতে যাঁরা অসহায় মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়ে তাদের সেবায় নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতমা হলেন মাদার টেরিজা। মাত্র ১২ জন সদস্য নিয়ে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই অক্টোবর প‘মিশনারিজ অব চ্যারিট’ প্রতিষ্ঠা করেন অসাধারণ এক মহিলা। যার শাখা বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে আছে। সমাজে অবহেলিত বঞ্চিত অনাথ শিশুদের জন্য গড়লেন নির্মলা শিশু ভবন। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে জননী টেরিজার সেবাব্রত। গড়ে তোলেন ৬০ টি বিদ্যালয়,৫৫ টি কুষ্ট চিকিৎসা কেন্দ্র,২০ টি উদ্ধার আশ্রম,২ টি দাতব্য চিকিৎসালয়।

যখনই মাদার টেরিজার কথা বলা হয়, তখন বিশ্বাস, দয়া, মমতা, মানবিকতা ও সেবাযত্নের মতো শব্দগুলি মুখে দিয়ে এক নিঃশ্বাসে প্রকাশ পায়। বিশ্বের অসংখ্য গৃহহীন ও অভাবী মানুষের জন্য তিনি ছিলেন একমাত্র আশার আলো। মানুষের জন্য তাঁর জীবন উত্‍সর্গ, ভালোবাসা ও যত্ন করার লক্ষ্যে দেশ ও ধর্মের কোনও বাধঁনে আবদ্ধ থাকেননি তিনি। আর্ত মানুষের যথার্থ একজন মা হয়ে উঠলেন তিনি। অসংখ্য অসহায় মানুষকে তিনি সযত্নে আশ্রয় দিয়েছিলেন।

১৯১০ খ্রিস্টাব্দের ২৭ ই আগস্ট অটোম্যান সাম্রাজ্যের ইউস্কুবে এক সচ্ছল কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন অ্যাগনেস। টেরিজার পারিবারিক নাম ছিল অ্যাগনিস।জন্মসূত্রে তিনি ছিলেন আলবেনীয়। আয়ারল্য়ান্ডের পর, ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষকতার কাজ নিয়ে জননী টেরিজা এসে পৌঁছলেন কলকাতায়, লরেটো সেন্টমেরিস স্কুলে। স্কুল সংলগ্ন এলাকায় ছিল কলকাতার এক দরিদ্র বস্তি। সেখানেই জীবনের বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছেন তিনি।

সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম ও মানবিকতার জন্য তিনি দুঃস্থদের সাহায্য করে গিয়েছেন।, ১৯৫০সালে তিনি কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে ৪৫০০এরও বেশি সন্ন্যাসিনী সেখানে থাকেন ও ২০১২ সালের মধ্যে মোট ১৩৩টি দেশে এই তাঁর সেবাব্রতের ধারা অব্যাহত।

এইচআইভি, এইডস, কুষ্ঠা ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তদের সেবাযত্নে ব্রতী মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সন্ন্যাসীরা। মাদার টেরিজার ১১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা কিছু তাঁর অনুপ্রেরণামূলক কিছু বাণী এখানে পরিবেশন করব, যা আপনাকে একজন ভাল মনের মানুষ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে, মানবতার প্রতি আপনার বিশ্বাস পুনরুদ্ধারও হবে।

১. হাসি থেকেই শান্তির সূচনা হয়।

২. আপনি যদি মানুষকে বিচার করেন, তাদের ভালোবাসার সময় আপনার নেই।

৩. যদি আপনি একশ জনকে খাওয়াতে না পারেন, তবে একজনকেই শুধু খাওয়ান।

৪. দয়ালু শব্দগুলি সংক্ষিপ্ত এবং কথা বলা সহজ হতে পারে, কিন্তু তাদের প্রতিধ্বনি সত্যিই অন্তহীন।

৫. পৃথিবীর যেখানেই যান ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। সুখী না হয়ে কেউ যেন কখনও আপনার কাছে ফিরে না আসে।

৬. ছোট ছোট বিষয়ে বিশ্বস্ত থাকুন কারণ এগুলোর মধ্যেই আপনার শক্তি নিহিত রয়েছে।

৭. গতকাল চলে গেছে। আগামীকাল এখনো আসে নি। আমাদের কাছে পড়ে রয়েছে শুধু আজকের দিনটি। চলুন আমরা কাজ শুরু করি।

৮. আমরা একে অপরের জন্য যখন ভাবতে শুরু করবে তখন মনে শান্তি বিরাজ করবে।

৯. প্রতিবার যখন আপনি কারোর দিকে তাকিয়ে হাসেন, তখন সেই হাসিই ওই ব্যক্তির জন্য উপহার বা সুন্দর অনুভূতির মুহূর্ত। এটি একটি প্রেমের প্রতিক্রিয়া। যেখানে যান প্রেম ছড়িয়ে দিন।

আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্মের আসল নাম কী? ধর্মগ্রন্থে কজন দেবদেবীর উপাসনার কথা বলা হয়েছে, জানেন?