আর মাত্র হাতে গোনা দিন। নতুন বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। তার আগেই চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। রামমন্দির গড়ে তোলার পিছনে দেশের প্রায় বিশিষ্ট জ্ঞানী ব্রাহ্মণরাই উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। মূল অনুষ্ঠানের সাতদিন আগে থেকেই শুরু হবে বিভিন্ন হিন্দু আচার-রীতি। আর এই প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানকে ঘিরে সারা দেশ জুড়েই শুরু হয়েছে উত্তেজনা ও প্রবল আগ্রহ। এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় তৈরি করা হয়েছে ২টি আলাদা আলাদা মণ্ডপ। একই সঙ্গে শাস্ত্রীয় ও বৈদিক পদ্ধতিতে ৯টি যজ্ঞকুণ্ড তৈরি করা হবে। বৈদিক ও শাস্ত্রীয় মতে, এই যজ্ঞ কুণ্ডগুলিকে পবিত্রতার সঙ্গে পরিচালনা করার জন্য, নির্মাণের জন্যকাশ থেকে বিশিষ্ট পণ্ডিত ও জ্যোতিষীরা উপস্থিত থাকবেন।
২টি মণ্ডপ ও ৯টি যজ্ঞকুণ্ড থাকবে
রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় থাকবে ২টি মণ্ডপ ও ৯টি যজ্ঞকুণ্ড। বিশিষ্ট আচার্যদের জন্য তৈরি হচ্ছে চার দিকে চারটি কুণ্ড। জানা গিয়েছে রামমন্দিরের সামনের জায়গায় এি মণ্ডপগুলি তৈরি করা হয়েছে। েই কুণ্ডগুলি বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে। সেগুলি কীভাবে পরিচালনা ও পুজোপাছ করা হবে, তার জন্য দেশের প্রায় ১২১ জন বৈদিক ব্রাহ্মণ পণ্ডিত উপস্থিত থাকবেন। হিন্দু শাস্ত্র মতে, যজ্ঞই শ্রেষ্ঠ কর্ম। বিভিন্ন ধরনের যজ্ঞ রয়েছে, বৈদিক সনাতন হিন্দু ধর্মে।
কুণ্ডের আকার ও উদ্দেশ্য
– বৃত্তাকার – শান্তির জন্য
– অর্ধচন্দ্র – সুস্থতার জন্য
– পদ্মা- স্বাস্থ্য, শান্তি, সমৃদ্ধির জন্য
– চতুর্স্ত্র- সমস্ত সমৃদ্ধির জন্য
– ত্রিভুজ- শত্রুর উপর বিজয়ের জন্য
– যোনি – বংশধরদের জন্য
– ষড়ভুজ – শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য
– অষ্টভুজ- সুস্বাস্থ্যের জন্য
সুখ লাভের জন্য আচার্য কুন্ড নির্মাণ করা হবে
যজ্ঞের কুণ্ডের জ্যামিতি সম্পূর্ণ একটি বৈজ্ঞানিক উপায় নির্মাণ করা হয়। যার সুফল পাওয়া যায় নিমেষের মধ্যে। এর নির্মাণে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ও গভীরতার বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে আট দিকে আটটি কুণ্ড তৈরি করা হবে। পূর্বে একটি বর্গাকার কুণ্ড থাকে, যা নেতৃত্ব দান করে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্বে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম ও মঙ্গল কামনার জন্য যোনি কুণ্ড স্থাপন করা হয়েছে। দক্ষিণে কল্যাণের জন্য একটি অর্ধচন্দ্রের আকার রয়েছে। পশ্চিমে শত্রু বিনাশের জন্য একটি ত্রিভুজ, পশ্চিমে শান্তি ও সুখের জন্য একটি বৃত্তাকার কুণ্ড রয়েছে, উত্তর-পশ্চিমে হত্যা ও বিদ্রোহ রোধের জন্য একটি ছয় পাথরের কুণ্ড তৈরি করা হয়েছে। রয়েছে, বৃষ্টির জন্য উত্তরে পদ্মা কুণ্ড, অষ্টশত্র কুণ্ড নির্মাণ করা হবে। ঈশান ও আচার্য কুন্ডে স্বাস্থ্যের জন্য ঈশান ও পূর্বের মধ্যে সমস্ত সুখের জন্য।
কুণ্ড তৈরি করা হবে কী কী দিয়ে
পুকুর নির্মাণে ইট, বালি, মাটি, গোবর, পঞ্চগব্য ও সিমেন্ট ইত্যাদি উপকরণ ব্যবহার করার নিয়ম।