সুন্দর ও পরিষ্কার ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার গুণের কোনও শেষ নেই। শুধু তাই নয়, ঔষধি বা আয়ুর্বেদিক হিসেবেও অ্যালোভেরার অবদান রয়েছে। স্বাস্থ্য ও ত্বকের যত্নের জন্য অ্যালোভেরার জেল বা রস যেমন গুরুত্বপূর্ণ ও তেমনি বাস্তশাস্ত্রেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ রয়েছে। বাস্তুমতে, এই গুরুত্বপূর্ণ গাছ বাড়িতে লাগালে বহু সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। বাস্তু অনুসারে, ঘরে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার গাছ লাগালে মানুষের উন্নতির পথে সমস্ত বাধা দূর হয়। সঠিক পথে ঘৃতকুমারী প্রয়োগ করলে, দেবী লক্ষ্মী গৃহে সর্বদা অবস্থান করেন। সম্পদ, গৌরব ও সুখ-শান্তির কখনও অভাব ঘটে না। উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর পর আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না আপনাকে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, বাড়িতে অ্যালোভেরার গাছ লাগানো খুবই শুভ। ঘরে এই গাছ লাগালে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তবে এই গাছ লাগানোর সময় মনে রাখবেন, শুধুমাত্র পশ্চিম দিকেই লাগানো উচিত। কারণ পশ্চিম দিককে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। তাতে জীবনে উন্নতির পথ খুলে যায় বরাবরের মতো। পাশাপাশি, আর্থিক সংকটও কেটে যায় সারাজীবনের মতো।
ঘরের অন্দরসজ্জার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ঘৃতকুমারী লাগালে প্রেম জীবনে সব সমস্যা দূর হয়ে যায়। প্রেমের জীবনে যদি সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে বাড়ির পূর্ব দিকে অ্যালোভেরা গাছ লাগানো সবচেয়ে শুভ হবে। এতে করে আপনার জীবনে ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় ও পদোন্নতির সম্ভাবনা থাকে। ঘরে পজিটিভ শক্তিও বজায় থাকে।
পরিশ্রম করেও ভাগ্য খোলে না অনেকের। কঠিন শ্রমের পরেও যদি হাতে টাকা না আসে, তাহলে অবশ্যই অ্যালোভেরা গাছ লাগাতে পারেন। তবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য বাড়ির বাগানে বা বারান্দায় অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন। তাতে ঘর থেকে নেতিবাচকতা দূর হয়। মন থাকবে ফুরফুরে ও বাস্তবধর্মী।
ভুল করেও এ দিকে অ্যালোভেরা লাগাবেন না
যদি বাড়িতে অ্যালোভেরা লাগাতে চান তাহলে অবশ্যই নির্দিষ্ট একটি দিকে রাখা উচিত। বাস্তু অনুসারে, উত্তর-পশ্চিম দিকে অ্যালোভেরা গাছ লাগানো উচিত নয়। এই দিকে গাছ লাগালে অশুভ ও উল্টো ফল পেতে পারেন।