Bhai Phota 2022: এই একটি কাজ করলেই ভাইয়ের আয়ু বাড়বে দ্বিগুণ! কোন সময়ে কী মোক্ষম কাজ করবেন, জানুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 26, 2022 | 10:24 PM

Mythology: ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে ভাইফোঁটায় একটি বিশেষ কাজ করতে পারেন। হিন্দু মতে বিশ্বাস করা হয়, ভাইফোঁটার দিনে এমন প্রতিকার করলে যমরাজের ভয় থেকে মুক্তি মেলে।

Bhai Phota 2022: এই একটি কাজ করলেই ভাইয়ের আয়ু বাড়বে দ্বিগুণ! কোন সময়ে কী মোক্ষম কাজ করবেন, জানুন

Follow Us

কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয় ভাইফোঁটা উত্‍সবে। এই দিনটির জন্য সারাবছর ভাইবোনেরা অপেক্ষা করে থাকেন। এ বছর ২৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পালিত হলে ভাইবোনের পবিত্র সম্পর্কের এক বিশেষ রীতি। এই বিশেষ ও পবিত্র দিনে ভাইয়ের মঙ্গলকামনায় ও দীর্ঘায়ু জন্য কপালে ফোঁটা দেন সব বোনেরা। বিশ্বাস করা হয়, এমন দিনে ভাইকে সঠিক পদ্ধতিতে ও উপায়ে ফোঁটা দিলে ও বোনের বাড়িতে সম্মানের সঙ্গে খাবার খাওয়া হয়, তা হলে ভাইয়ের আয়ু হবে দ্বিগুণ। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে ভাইফোঁটায় একটি বিশেষ কাজ করতে পারেন। হিন্দু মতে বিশ্বাস করা হয়, ভাইফোঁটার দিনে এমন প্রতিকার করলে যমরাজের ভয় থেকে মুক্তি মেলে। তাই ভাইবোনের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে ও পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে এই শুভ কাজটি করা দরকার।

প্রতিকার

ভাইকে ফোঁটা দিতে ভাইয়ের বাড়িতে নয়, নিজের বাড়িতে নিমন্ত্রণ জানিয়ে রান্না করে খাবার পরিবেশন করুন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ভাইফোঁটার দিন বোনেদের বাড়িতে খাবার রান্না করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে ভাইকে ভক্তি সহকারে খাবার নিবেদন করলে যমরাজের ভয় কেটে যায়। যমের হাত থেকে বাঁচাতেই ভাইয়ের কপালে টিকা বা ফোঁটা দেওয়া হয়। এই দিন যমের কাছে ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে থাকেন বোনেরা।

পৌরাণিক কাহিনি

কিংবদন্তি অনুসারে, মাতা সংজ্ঞা এবং ভগবান সূর্যের দুটি সন্তান। যমরাজ ও যমুনা। কথিত আছে, মা সংজ্ঞা যখন সূর্যদেবের তেজ সহ্য করতে পারেননি, তখন তিনি তার দুই সন্তানকে ছায়ার হাতে তুলে দিয়ে চলে যান। তবে যমুনা ও যমরাজের প্রতি ছায়ার কোনও দিনই ভালবাসা বা টান ছিল না। যদিও যমরাজের প্রতি তার প্রবল স্নেহ ছিল। সেই কারণে যমুনা মাঝেমাঝেই ভাইের বাড়িতে চলে আসত। মাঝেমধ্যে ভাইকেও তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য় অনুরোধ করতেন। একদিন, কার্তিক মাসের শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয় দিনে, যমরাজ হছাত করে তার বোন যমুনা বাড়িতে পৌঁছে যান। যমরাজকে দেখে তার দিদি যমুনা অত্যন্ত খুশি হয়ে যান। কথিত আছে, বোনের বাডিতে যাওয়ার সময় যমরাজ নরকের সমস্ত প্রাণীকে মুক্তি দিয়ে দিয়েছিলেন। যমুনা ভাইকে পেয়ে বেজায় খুশি হয়ে হরেক কিসিমের রান্না-বান্না করেন। তার কপালে ফোঁটা দিয়ে খাবার পরিবেশন করেন। এরপর পরে যমরাজ যখন বোনের বাড়ি থেকে বিদায় নিচ্ছিলেন, সেই সময় বোনের আপ্য়ায়নে মুগ্ধ হয়ে একটি বর চাইতে বললেন। সেই সময় যমুনা জানান, এই দিনে যে বোন তার ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেবে, তার ভাইয়ের আয়ু দীর্ঘ হবে। এমন বর শুনে যমরাজও আপ্লুত। যমুনাকে বর দিয়ে বলেন এরপর থেকে এটাই হবে।

Next Article