Dev Diwali 2023: দীপাবলির পর ফের দিওয়ালি! কাশীর ঘাটে কেন লক্ষাধিক প্রদীপ জ্বালানো হয়, জানেন?
God’s Diwali In Varanasi: মনে করা হয় এদিন স্বর্গ থেকে সব দেব-দেবী মর্ত্যে নেমে আসেন আর শিবনগরী কাশীতে দীপাবলি উত্সব পালন করে থাকেন। সাধারণত দিওয়ালির ১৫দিন পরেই পালিত হয় দেব দীপাবলি। শাস্ত্র অনুসারে, এদিন সন্ধ্যের সময় শিবমন্দিররে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। শিব মন্দির ছাড়াও অন্যান্য মন্দিরগুলিতেও প্রদীপ বা বাতি জ্বালানো হয়ে থাকে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা দিবসে পালিত হয় দীপাবলি বা দিওয়ালি। তবে দীপাবলির পরেও পালিত হয় দিওয়ালি। প্রথা অনুসারে,দীপাবলির ১৫ দিন পরেই পালিত হয় এক বিশেষ দিওয়ালি। কার্তিক মাসের পূর্ণিমা তিথির প্রদোষকালে পালিত হয় দেব দীপাবলি। এদিন দেশের বারাণসীর গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ও মন্দির চত্বরে প্রদীপের আলোয় আলোকিত করা হয়। মনে করা হয় এদিন স্বর্গ থেকে সব দেব-দেবী মর্ত্যে নেমে আসেন আর শিবনগরী কাশীতে দীপাবলি উত্সব পালন করে থাকেন। সাধারণত দিওয়ালির ১৫দিন পরেই পালিত হয় দেব দীপাবলি। শাস্ত্র অনুসারে, এদিন সন্ধ্যের সময় শিবমন্দিররে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। শিব মন্দির ছাড়াও অন্যান্য মন্দিরগুলিতেও প্রদীপ বা বাতি জ্বালানো হয়ে থাকে। এছাড়া বাড়ির সামনে, রাস্তার ধারে, অশ্বত্থ ও তুলসী গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম রয়েছে। মনে করা হয়, দেব দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি এদিন মহাদেব দর্শন ও পুজো করলে সম্পদ ও সৌভাগ্য ফিরে আসে।
দেব দীপাবলি কবে পালিত হয়
বৈদিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, এ বছর কার্তিক পূর্ণিমা তিথি ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেল ৩টে ৫৩ মিনিট থেকে পরের দিন ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে প্রদোষ ব্যাপিনী মুহুর্তে দেব দীপাবলি পালিত হয়। তাই এ বছর দেব দীপাবলি পালিত হবে ২৬ নভেম্বর রবিবার, আর কার্তিক পূর্ণিমার উপবাস ও স্নানপর্ব পালিত হবে সোমবার, ২৭ নভেম্বর।
প্রদীপ জ্বালানোর শুভ সময়
এবছর দেব দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর শুভ সময় হল বিকেল ৫টা ৬ মিনিট থেকে ৭টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। যদি সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য ফেরাতে চান, তাহলে প্রদীপ জ্বালানোর জন্য হাতে সময় পাবেন মাত্র ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট। ২৭ নভেম্বর বারাণসীতে সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটের মধ্যে। সেই সময় থেকে প্রদোষ কাল শুরু হবে।
দেব দীপাবলির গুরুত্ব
উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে খুব ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় দেব দীপাবলি। বলা হয় মহাদেবের শহর হল বারাণসী। তাই এদিন শিবপুজোর পাশাপাশি মন্দিরগুলিতেও প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে। মনে করা হয়, এদিন সমস্ত দেবদেবীরা কাশীর ঘাটে নেমে আসেন , মহাদেবের আগমনে ভক্তরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ফের একবার দীপাবলি পালন করে থাকেন।
কিংবদন্তী মতে, একটা সময় রাক্ষসরাজ ত্রিপুরাসুরকে বধ করার জন্য মহাদেবের কাছে কাতর প্রার্থনা জানান দেবতারা। প্রয়াগেই ত্রিপুরাসুর দীর্ঘকাল কঠিন তপস্যা করেছিলেনয তাঁর তপস্যার কারণে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল নড়েচড়ে উঠেছিল। তার তপস্যায় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মাদেব বর দিয়েছিলেন, কোনও দেবতা, পুরুষ, নারী, জীব, পশু, পাখি, নিশাচর তাকে হত্যা করতে পারবে না। এককথা অমরত্ব দান করেছিলেন। এরপরই স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালে অত্যাচার শুরু করেন অসুররাজ। কোনও দেবতাই তাঁকে হারাতে পারছিলেন না। এমনকি বিষ্ণুদেবও না। এরপর মহাদেব ত্রিপুরাসুরকে বধ করার জন্য কার্তিক পূর্ণিমার দিনে প্রদোষকালে অর্ধনারীশ্বর রূপ ধারণ করেন। এই পৌরাণিক কাহিনিকে সামনে রেখেই প্রতি বছর এই প্রদোষকালে কাশীর রবিদাস ঘাটথেকে লেরাপ রাজঘাট পর্যন্ত কয়েক লক্ষ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে।
