এক সেকেন্ড পর আপনার সঙ্গে কি হতে চলেছে তা কেউ জানে না। স্বয়ং আপনি নিজেও জানেন না। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। প্রবীণ বা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় যুবক-যুবতীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা দিনে দিনে বেড়ে গিয়েছে। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু টিপসও মেনে চলা উচিত। কারণ হৃদরোগ প্রতিরোধে কিছু ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাগুলো করলে ধীরে ধীরে আপনার হার্টের সমস্যা দূর হওয়া সম্ভব হতে পারে। এর পাশাপাশি আরও অনেক সুবিধা পাবেন। এই প্রতিকার গ্রহ-নক্ষত্রকেও অনুকূল করে তোলে এবং তাদের শুভ প্রভাবের কারণে স্বাস্থ্যও লাভ হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্রের এই প্রতিকারগুলি হৃদরোগ প্রতিরোধে খুব কার্যকর, সেগুলি দেখে নেওয়া যাক এখানে…
এই মন্ত্রটি জপ করুন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রবিবার শিবলিঙ্গের পুজো করার পর সূর্যকে জল অর্পণ করুন। এর পর গায়ত্রী মন্ত্রের অন্তত একটি জপ জপ করতে হবে। এতে করে হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং শরীরে ইতিবাচক শক্তির যোগাযোগও বজায় থাকে।
”ॐ भूर्भुवः स्वः तत्सवितुर्वरेण्यम् भर्गो देवस्य धीमहि धियो यो नः प्रचोदायत्।।”
এই গাছটি সবসময় আপনার সঙ্গে রাখুন
সোমবার রাতে যতটা সম্ভব আরাম করে বসে চন্দ্র মন্ত্র ‘ওম সোম সোমায়া নমঃ’ ১০৮ বার জপ করুন। এই মন্ত্র হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী। শরীরকে একেবারে ফিট রাখে। এর পাশাপাশি রসাল কোনও গাছ লাগান এবং প্রতিদিন জল নিবেদন করুন। এটি করলে অবশ্যই আপনার উপকার হবে কারণ এই গাছটি হৃদরোগ নিরাময় করে।
এই প্রতিকার হার্টের উপকার করে
– হৃদরোগ এড়াতে, প্রতিদিন সূর্যোদয়ের সময় এবং সূর্যাস্তের আগে শঙ্খ ফুঁকতে পারেন। হৃদরোগীদের জন্য শঙ্খের ধ্বনি খুবই উপকারী। বলা হয় প্রতিদিন শঙ্খ ফুঁকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। এর পাশাপাশি শঙ্খ ফুঁকানোর প্রভাব শরীরের অন্যান্য অংশেও পড়ে। মলদ্বার ও প্রস্টেট সিস্টেমকেও ঠিক রাখে। এছাড়া মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
– জ্যোতিষশাস্ত্রে হৃদয়কে সূর্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করা হয়। এর জন্য আপনার রাশিতে একটি অনুকূল সূর্যদেবের অবস্থান থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্মকুণ্ডলীতে সূর্যের অবস্থান ঠিক থাকুক বা না থাকুক, প্রতিদিন একটি তামার পাত্রে জল ভরে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে পারেন। অর্ঘ্য অর্পণের সময় ‘ওম হ্রাণ হ্রণ সহ সূর্যায় নমঃ’ মন্ত্রটি উচ্চারণ করতে হবে। এর ফলে শুধু হৃদরোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়, তাই নয়, আরও অনেক রোগ এড়াতে এটি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
– হৃদরোগ থেকে বাঁচতে রবিবার সূর্যদেবকে জল নিবেদনের পর বেলপত্রের মূল একটি রেশমী কাপড়ে বেঁধে ডান হাতে পরুন। তারপর সূর্য সম্পর্কিত জিনিস দান করুন। এতে করে হার্ট সংক্রান্ত রোগ দূরে থাকবে। অন্যদিকে, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি পান্না, সাদা মুক্তা এবং হলুদ পোখরাজ পরতে পারেন।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)