হিন্দু ধর্মে গরুকে মায়ের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্মে গরুর সেবা করলে পুণ্য পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস আছে। মনে করা হয়, আপনি যদি প্রতিদিন গরুকে রুটি খাওয়ান তবে আপনার সমস্ত কাজ সফল হতে বাধ্য। সেই সঙ্গে জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এমনও মনে করা হয়, গরুর মধ্যে হিন্দুদের সব দেবতারা বাস করেন। এমন অবস্থায় বাড়িতে তৈরি প্রথম রুটি যদি গরুকে খাওয়ানো হয়, তাহলে সব দেবতাদের অন্ন নিবেদন করার মত পুণ্য লাভ করা হয়। এই ফাঁকে জেনে নিন সকালের প্রথম রুটি খাওয়ানোর নিয়ম কী কী…
গ্রহের শান্তির জন্য
শনি বা রাহু-কেতুর মতো গ্রহ যদি কারোর জন্মকুণ্ডলীতে অশুভ লক্ষণ থাকে, তাহলে বাড়িতে তৈরি প্রথম রুটি গরুকে খাওয়ানো ছাড়াও শেষের রুটিটি কুকুরকে খাওয়ান। মনে করা হয় যে কুকুরকে রুটি খাওয়ানো হলে গ্রহগুলি থাকে শান্ত ও ত্রুটির প্রভাব হ্রাস করে।
পারিবারিক শান্তির জন্য
যদি ঝগড়া-বিবাদ চলতেই থাকে, তাহলে পারিবারিক শান্তির জন্য প্রতিদিন সকালে প্রথম রুটি গরুকে খাওয়াতে পারেন। এমনটা মনে করা হয় যে এটি বারবার অশান্তি-ঝগড়া বিবাগ হলে, তার সমাপ্ত হয় দ্রুত। গরুকে অন্ন নিবেদন করলে ঘরে সুখ শান্তি আসে এবং দেবতারাও খুশি থাকেন।
অর্থ লাভের জন্য
যদি ঘরে আর্থিক সংকট থাকে তবে সকালে বাড়িতে তৈরি করা প্রথম রুটি আলাদা করে নিন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই রুটির চারটি টুকরো করে কেটে একটি গরুকে, দ্বিতীয়টি কুকুরকে, তৃতীয়টি একটি কাককে এবং শেষ টুকরোটি রাস্তার মোড়ে ছুঁড়ে দিলে, তা মুক্তি বা মোক্ষ লাভ করা সম্ভব হয়। এছাড়া বাড়ির অর্থনৈতিক সমস্যাও মিটে যায় দ্রুত।
(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)