নিয়ম অনুযায়ী, সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই প্রকৃতি পরিবর্তন হতে শুরু করে। শীত শেষ হয়ে বসন্ত ঋতু শুরু হয়। আর ওইদিনে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করার সেরা ও অত্যন্ত বিশেষ বলে মনে করা হয়। জ্ঞান ও বিদ্যালাভের জন্য এদিন ছোট থেকে বড়, সকলেই ভক্তিভরে পুজোপাঠ করে থাকেন। বসন্ত পঞ্চমী প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয়। প্রতি বছরই সরস্বতী পুজো পশ্চিমবঙ্গে পালন করা হয়ে থাকে। বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, সরস্বতী পুজোর শুভ তারিখ ও সময় জেনে নিন এখানে…
সরস্বতী পূজার তারিখ ও সময়
পঞ্চমী তিথির শুরু – ১৩ ফেব্রুয়ারি, বেলা ২টো ৪১ মিনিট।
পঞ্চমী তিথির সমাপ্তি – ১৪ফেব্রুয়ারি,দুপুর ১২টা ৯ মিনিটপর্যন্ত।
পূজার মুহুর্তা – ১৪ ফেব্রুয়ারি,সকাল ৬টা ১৭ মিনিট থেকে বেলা ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত।
সরস্বতী পুজোর সময় কোন কোন কাজ অবশ্যই করবেন
সরস্বতী পুজোর দিন থেকেই শুরু হচ্ছে বসন্ত ঋতু। শীত শেষ হলে শুরু হয় এই ঋতু। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় এদিনে বেশ ধুমধাম করে বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় উত্সব পালিত হয়। ভক্তি ভরে বাগদেবীর বন্দনা করা হয়।
এদিনে স্কুল, বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো বিভিন্ন জায়গায় দেবী সরস্বতীর মূর্তি স্থাপন করে বিশেষ প্রার্থনা করে থাকেন ছোট থেকে বড়রা।
এই বিশেষ দিনে বিশেষ পুজোর আচার বিশেষ রীতি মেনে পালিত হয়। মালা অর্পণ, মন্ত্র জপ, হলুদ চাল নিবেদন, সরস্বতী পাঠ ইত্যাদি পালন করা হয়।
দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা এ দিনে পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করা হয়।
বসন্ত পঞ্চমী উপলক্ষে সরস্বতীর আশীর্বাদ পেতে মূর্তির কাছে বই, খাতা, পেন প্রভৃতিরাখার নিয়ম রয়েছে। মনে করা হয়, তাতে জ্ঞানপ্রাপ্তি ঘটে।
বসন্ত পঞ্চমীর দিন স্কুলে পড়াশোনা, সঙ্গীত, কর্মজীবন ও নতুন চাকরি শুরু করার জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
হলুদ রঙ দেবী সরস্বতীকে খুশি করার জন্য হলুদ শাড়ি, সাজসজ্জা ও হলুদ ফুল নিবেদন করা হয়।
স্কুল, শিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।