Saraswati Puja 2024: সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলেই পাপ দেবে বাগদেবী! রয়েছে অজানা কাহিনি
Mythology: বাজারে এখন দেদার নানা ধরনের কুল বিক্রি হচ্ছে। টোপা কুল, আপেল কুল, নারকেল কুল, টক কুল। সরস্বতী পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন কুলের প্রতি দুর্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট থেকেই অনেকে বাগদেবীর আরাধনার আগে কুল খান না। এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু কেন মেনে আসছেন তা অনেকেই জানেন না।
আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপরেই পাড়ায় পাড়ায়, স্কুল-কলেজে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধুমধাম করে পালিত হবে সরস্বতী পুজো। ছোটবেলা থেকেই শুনছেন, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খেলে বাগদেবীর আশীর্বাদ পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। সারাবছর পড়াশোনায় মন বসবে না। পরীক্ষাতেও আসবে গোল্লা। তাই কুল খাওয়া থেকে শতহস্ত দূরে থাকেন পড়ুয়ারা। অন্যদিকে, সরস্বতী পুজোর প্রধান নৈবেদ্যই হল কুল। কুল ছাড়া বাগদেবীর আরাধনা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। শাস্ত্র ঘাঁটলে দেখা যাবে, সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া মহাপাপ হয়। তবে কুলের সঙ্গে সরস্বতী পুজোর একটি সম্পর্ক রয়েছে। রয়েছে পৌরাণিক কাহিনিও।
বাজারে এখন দেদার নানা ধরনের কুল বিক্রি হচ্ছে। টোপা কুল, আপেল কুল, নারকেল কুল, টক কুল। সরস্বতী পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন কুলের প্রতি দুর্বলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছোট থেকেই অনেকে বাগদেবীর আরাধনার আগে কুল খান না। এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ম মেনে চলেন। কিন্তু কেন মেনে আসছেন তা অনেকেই জানেন না। সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক একটি কারণ রয়েছে। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন নিয়ম ও পৌরাণিক কাহিনি।
পুরাণ মতে, বীণাপানিকে তুষ্ট করতে একবার কঠোর তপস্যায় মগ্ন হয়েছিলেন মহর্ষি ব্যাসদেব। কিন্তু তপস্যা শুরুর আগেই সরস্বতী দেবী ব্যসদেবকে দর্শন দেন। সেই সময় ব্যাসদেবের হাতে ছিল কুলের বীজ। সেই সময় তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে বসে ব্যাসদেব তপস্যা শুরু করবেন, সেখানেই পুঁতে দিতে হবে কুলের বীজ। সেই কুল বীজ থেকে গাছে ফল ধরা না পর্যন্ত একটানা তপস্যা চালু রাখতে হবে। সরস্বতীর আশীর্বাদ স্বরূপ তার মাথায় যতক্ষণ না কুল ঝরে পড়ছে, ততক্ষণ বুঝতে হবে, সরস্বতীদেবী তুষ্ট হননি। সেই নির্দেশ মেনে ব্যাসদেব সব প্রক্রিয়া মেনে চললেন। এমনকি দেবীর কথামতো একটি সময় ব্যাসদেবের মাথায় ঝরে পড়েছিল কুল। আর সেই দিনটি ছিল মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি। হিন্দু ধর্মমতে, সেইদিন থেকে পালিত হয় বসন্ত পঞ্চমী। সেই প্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেই রীতি চলে আসছে। সরস্বতী পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আগে পর্যন্ত অধিকাংশ কুল খান না।