কালীপুজোর আগের দিন মানেই ভূত চতুর্দশী। লোকে বলে আজ নাকি খুলে যায় স্বর্গ আর নরকের দরজা। ‘তেঁনারা’ সব ইহলোকে ঘুরতে আসেন। পরিবারের সঙ্গে এসে সময় কাটিয়ে যায়। অন্ধকার হলেই নাকি ‘তেঁনারা’ নেমে আসেন ইহ জগতে। অন্ধকার হলেই যেন চারপাশে একটা গা ছমছমে ভাব। এই দিন সন্ধে বেলা বাড়ির নানা স্থানে মোট ১৪টি প্রদীপ জানানোর রীতি রয়েছে। কথিত এই চোদ্দ প্রদীপ নাকি চোদ্দ পুরুষকে অর্পণ করা হয়। কিন্তু কোথায় কোথায় দিতে হয় ১৪ প্রদীপ, জানেন?
বাড়িতে কেবল ১৪ প্রদীপ জ্বালালেই কিন্তু হল না। সঠিক জায়গায় প্রদীপ দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। মন রাখবেন, এই সময়ে বাড়ির ঠাকুরঘরে প্রদীপ দেওয়াটা সর্বাধিক প্রয়োজন। বাড়িতে তুলসীমঞ্চ থাকলে, সেখানেও একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির সদর দরজায় দুপাশে দুটি প্রদীপ দিতে হবে। তাতে একটি করে লবঙ্গ রাখতে পারেন। বাড়ির যেখানে জলের ব্যবস্থা রয়েছে বা কলতলায় একটি প্রদীপ দিতে হবে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে। বাড়িতে মাটির উনুন থাকলে, সেই উনুনে একটি প্রদীপ দিন।
১৪ প্রদীপ জ্বালানো ছাড়াও আরও কয়েকটি কাজ করে দেখতে পারেন। এই দিন বাড়িতে চোদ্দ শাক খাওয়ার চল আছে। যমরাজের পুজো করতে পারেন। বাড়িতে অন্ধকার যেন না থাকে। সব সময় আলো জ্বালিয়ে রাখুন। দু’বেলা গীতা পাঠ করতে ভাল।