ঠাণ্ডায় সর্দি-কাশি হলে তুলসী পাতার রস খাওয়া বাঙালির কাছে সবচেয়ে সহজ পথ্য। তুলসী মঞ্চে তুলসী গাছ থাকবে না, তা কখনও হিন্দুদের বাড়িতে কখনও হয় না। কারণ তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র দেবী হিসেবে নিয়মিত পুজো করা হয়। কথিত আছে, তুলসী গাছের বিভিন্ন অংশে হিন্দুদের দেব-দেবী বাস করেন। তুলসীকে লক্ষ্মী জ্ঞানেও পুজো করা হয়। মনে করা হয়, দেবী লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করতে হলে রোজ নিয়ম করে সকাল -সন্ধ্যের সময় জল নিবেদন করা উচিত। ধনলক্ষ্মীর আশীর্বাদে ফুলে ফেঁপে ওঠেন ভক্তরা। বাড়িতে প্রতিদিন তুলসী পুজো করা হলে সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি-সৌভাগ্য ফিরে আসে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, তুলসী গাছে জল নিবেদন করা উচিত বলে মনে করা হয়। তবে জল ছাড়াও তুলসী গাছে বেশ কিছু জিনিস নিবেদন করা হয়। তাতে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় খুব সহজেই। ঘরে যাবতীয় অশুভ বা নেগেটিভ শক্তিও দূর হয়ে যায়। তাই তুলসী গাছ পুজোর রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। আর্থিক সঙ্কট কাটাতে তুলসী গাছে কী কী নিবেদন করা উচিত, তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে…
জল
তুলসী গাছকে পবিত্র উদ্ভিদের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাতে লক্ষ্মীর বাস থাকে। তাই দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে নিয়মিত তুলসী গাছে জল নিবেদন করুন। মনে রাখবেন যে সকালে স্নান করার পরেই তুলসী গাছে জল নিবেদন করুন, এটি শুভ।
ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো
বাড়িতে তুলসী গাছ থাকলে নিয়মিত পুজো করুন। তাতে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুওভক্তের উপর আশীর্বাদ বর্ষণ করে থাকেন। এর জন্য অবশ্যই সন্ধ্যের সময় তুলসী গাছের সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।
আখের রস
তুলসী গাছকে সবচেয়ে শুভ ও পবিত্র বলে মনে করা হয়। তাই পুজোর সময় আখের রসও নিবেদন করতে পারেন, তা খুব শুভ।
কাঁচা দুধ
পুজো করার সময় তুলসী গাছে কাঁচা দুধ নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়। এমন প্রতিকার করলে দেবী লক্ষ্মী ভক্তের উপর তুষ্ট থাকেন।