বঙ্গে শীত এসে গিয়েছে। তাপমাত্রা কমেছে। আলমারি থেকে শীতবস্ত্র বেড়িয়েছে। শীতের মরশুমে লাইফস্টাইলেও বিশেষ পরিবর্তন আসে। পোশাক থেকে শুরু করে ডায়েট—সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে শীতে। বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে এই সময়। শীতে যাতে ঘর গরম থাকে এর জন্য অনেকেই মোটা পর্দা ব্যবহার করবেন। এতে ঠান্ডা হাওয়া আসা আটকায়। কিন্তু জানেন কি বাস্তু মতে, পর্দা ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে। এছাড়াও শীতে বাড়ি গরম রাখার জন্য এমন বেশ কিছু আমরা করি যার উল্লেখ রয়েছে বাস্তু শাস্ত্রে। তাই বাড়িতে সুখ, শান্তি বজায় রাখতে বাস্তু শাস্ত্রের এই টিপসগুলো মেনে চলুন।
বাস্তু শাস্ত্রের মতে, সূর্যের আলো সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করে। ঘরের ভিতরে যত বেশি সূর্যের আলো প্রবেশ করবে, ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার বেশি ঘটবে। তাছাড়া সূর্যের আলো জীবাণুর বিনাশ ঘটায়। তাই পর্দা ব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখুন যে, ঘরে সূর্যের আলো যেন প্রবেশ করে। এমন পর্দা ব্যবহার করবেন না, যা সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে। চেষ্টা করুন সকালের দিকে জানলা খুলে রাখার। বিকালে হলেই জানলা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিতে পারেন।
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, শীতে বাড়িতে হলুদ রঙের আলো ব্যবহার করুন। সাদা আলো এড়িয়ে চলুন। হলুদ রঙ উষ্ণ রঙ হিসেবে পরিচিত। হলুদ রঙ ব্যবহার করলে ঘর উষ্ণ রাখা যায়। তাছাড়া হলুদ রঙ ঘরের মধ্যে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটায়। বিশেষত, বাড়ির অন্ধকার অংশে হলুদ রঙের আলো লাগান। এতে নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়ে যাবে।
শীতে ঘর গরম রাখার জন্য রুম হিটার ব্যবহার করছেন? বাড়ির কোন অংশে এই রুম হিটার লাগাবেন জানা আছে? বাস্তু শাস্ত্রের মতে, বাড়ির অগ্নিকোণে রুম হিটার লাগানো উচিত। অগ্নিকোণে আগুন জ্বালালে সমস্ত বাস্তু দোষ বা সমস্যা দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি এতে গৃহে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার ঘটে।
শীতে ঘর গরম রাখার জন্য মোমবাতিও ব্যবহার করতে পারেন। বাড়ির দক্ষিণ কোণে মোমবাতি জ্বালান। সব সময় লাল রঙের মোমবাতি ব্যবহার করবেন। এতে বাড়ির সমস্ত বাস্তু সমস্যা দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি মোমবাতির আলোয় বাড়ির মধ্যে ইতিবাচক শক্তি বাড়ে এবং বাড়ির সদস্যদের মধ্যে শান্তি বজায় থাকে।
শীতকালে রান্নাঘরে এমন অনেক পদ রন্ধিত হয় যা স্বাস্থ্য জন্য ভাল। এক্ষেত্রেও আপনি বাস্তু শাস্ত্রের সাহায্য নিতে পারেন। শীতে ড্রাই ফ্রুটস, ছোলা, গুড় বেশি করে খান। এতে শরীর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। তাছাড়া এগুলো শাস্ত্র মতে ভীষণ উপকারী।