পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয় “জন্মাষ্টমী উৎসব”। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীর দিনে পালিত হয় এই পবিত্র উত্সব। ভারত-সহ অন্যান্য অনেক দেশেও খুব ধুমধাম করে পালিত হয় কৃষ্ণের জন্মতিথি। জন্মাষ্টমীকে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, শ্রী জয়ন্তী ও শ্রী কৃষ্ণ জয়ন্তী নামেও পরিচিত। এ বছর, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, গৃহে যারা পুজো করবেন, তারা ৬ সেপ্টেম্বর জন্মবার্ষিকী পালন করবেন। অন্যদিকে বৈষ্ণবরা জন্মাষ্টমী কৃষ্ণ পুজো করবেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বর।
জন্মাষ্টমীতে কেষ্টপুজো ছাড়াও করুন এই কাজ…
যদি জীবনে স্থায়ী সুখ ও সমৃদ্ধি পেতে চান, তাহলে জন্মাষ্টমীর রাত ১২টা নাগাদ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে কেশর মিশ্রিত দুধ দিয়ে অভিষেক করতে পারেন।
তুলসী গাছে ঘিয়ের প্রদীপ
বিশ্বাস করা হয়, জন্মাষ্টমীর সন্ধ্যেয় বাড়ির তুলসী গাছের কাছে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে গৃহে অশান্তি ও ঝামেলার অবসান ঘটে।
জীবনে প্রেম আনতে এদিন এই মন্ত্র জপ করুন
এ দিনে, ‘ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায়’ জপ করার সময়, ১১ বার তুলসী প্রদক্ষিণ করলে পরিবারে প্রেমের পরিবেশ বজায় রাখে।
শ্রী কৃষ্ণকে নিবেদন করলে নিমেষে দুঃখ-কষ্ট দূর হবে
এ দিনে শ্রীকৃষ্ণকে হলুদ ফুলের মালা অর্পণ করা, হলুদ বস্ত্র, হলুদ ফল, হলুদ শস্য ও হলুদ মিষ্টি দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে অর্থলাভের যোগ তৈরি হয়, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক সব সমস্যাও দূর হয়ে যায়।
জন্মাষ্টমীতে কী করবেন?
কৃষ্ণ গোপালের সেবা ও পুজো করার সময় পান নিবেদন করতে পারেন। তাতে সিঁদুর দিয়ে পাতায় শ্রী লিখে পুজো করার পর আলমারিতে রেখে দিন। এই নিয়ম মেনে চললে আর্থিক সংকট কেটে যায়।
এভাবে পুজো করুন, দ্রুত কাজের অবসান ঘটবে
এদিনে গোপালঠাকুরকে নতুন পোশাক পরান, ভোগ নিবেদন করুন ও রাধারাণীকে চন্দন দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। এরপর রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে বৈজয়ন্তী ফুলের মালা অর্পণ করুন। এই প্রতিকার করলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং সমস্ত স্থবির কাজ সম্পন্ন হয়।
সন্তানসুখ পেতে
জন্মাষ্টমীর দিন গরু ও বাছুরের সেবা করুন, গরু ও বাছুরের মূর্তি বাড়িতে এনে গোপালের মূর্তির কাছে রেখে পুজো করুন। এতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় সন্তানের সুসংবাদ পেতে পারেন।