আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হবে কৃষ্ণপুজোর শুভতিথি। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ৬ সেপ্টেম্বর থেকেই কৃষ্ণপক্ষোর তিথি শুরু হয়ে যাচ্ছে। তবে এবার একদিন নয়, দুদিন ধরে পুজোর তিথি রয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বরেও জন্মাষ্টমী পুজো করতে পারবেন ভক্তরা। আগামী দিনের পুজোর জন্য ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে তুঙ্গে। কেষ্টপুজোর আরাধনায় যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য আজই সব সামগ্রী যেন সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
এ বছর কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী দুই দিন ধরে পালিত হবে। বাড়িতেই যারা পুজো করবেন, তারা আগামী ৬ সেপ্টেম্বর আয়োজন করতে পারেন। তবে ৭ সেপ্টেম্বর হল শুধুমাত্র বৈষ্ণবদের জন্য। জন্মাষ্টমীর দিন, শ্রী কৃষ্ণের জন্মবার্ষিকী শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও ধুমধাম করে পালিত হয়। এ দিনে নিয়ম-কানুন মেনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের পুজো করা হয়ে থাকে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে বাজারে গোপালের পরনের রকমারি পোশাক, বাসনপত্রস ফুলের জিনিসপত্র, মিষ্টির দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছে গোপালের পছন্দের সুস্বাদু মিষ্টি ভোগ।
জন্মাষ্টমীর দিন উপবাস করে মধ্যরাতে গোপালের পুজো করলে সমস্ত কষ্ট দূর হয় বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, ধনসম্পত্তি,সুখ ও সমৃদ্ধিও বয়ে আসে। শ্রী কৃষ্ণের পূজার জন্য বেশ কিছু উপকরণ থাকা বাধ্যতামূলক। যেগুলি ছাড়া গোপালপুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পুজোর উপকরণ ও শুভ সময় জেনে নিন একনজরে…
পূজা সমগ্রী
– গোপালের মূর্তি, দোল বা সিংহাসন, ময়ূরের পালক, বাঁশি, গরুর মূর্তি, বৈজয়ন্তীর মালা, লাল কাপড়, তুলসী পাতা, গয়না, মুকুট, শসা, ওড়না, গোপী চন্দন, কুমকুম, হলুদ, অক্ষত, সপ্তধন, গহনা, মৌলি, তুলা, তুলসীর মালা, আবির, আবির, সপ্তমৃতিকা, সুগন্ধি, কলসি, প্রদীপ, ধূপ, ফল, হলুদ পোশাক, মাখন, চিনির মিছরি, নৈবেদ্য বা মিষ্টি, ছোট এলাচ, লবঙ্গ, ধূপকাঠি, কর্পূর, অভিষেকের জন্য কেশর, নারকেল, তামা বা রূপার পাত্র, পঞ্চামৃত, ফুল, কলা পাতা, কুশ ও দূর্বা, পঞ্চামৃত, গঙ্গাজল, মধু, চিনি, সুপারি, পান, সিঁদুর।
– মাখন, মিছরি, তুলসী পাতা, হলুদ রঙের পোশাক, চন্দন, ফুল, পঞ্চামৃত ছাড়া গোপালের পুজো অসম্পূর্ণ থাকে।
জন্মাষ্টমী পূজার নিয়ম
– শাস্ত্র অনুসারে, শ্রী কৃষ্ণের জন্ম ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রোহিণী নক্ষত্রের অধীনে ও রাতে কেষ্টঠাকুরের পুজো করা হয়ে থাকে। ধর্মানুসারে, জন্মাষ্টমীর রাতে একটি শুভ সময়ে গোপালের জন্মতিথি পালন করা উচিত।
– হিন্দুমতে, কৃষ্ণপুজো মাখন ও মিছরি নিবেদন ছাড়া অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, পুজোর আগে সুন্দর করে গোপালঠাকুরকে সাজান। নতুন পোশাক পরান। সুগন্ধি ফুল দিয়ে দোলনা ও সিংহাসন সাজিয়ে রাখুন আগের রাতেই। জন্মাষ্টমীর উপবাসের দিনে মাত্র একবার ফল খান। রাতে পুজো হওয়ার পরদিন সূর্যোদয়ের সময় উপবাস পালন করা উত্তম।