হিন্দু ধর্মে যে কোন কাজ শুভ সময় দেখে করা হয়। এ সময় সূর্যের গতিবিধিরও বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। এই কারণে, খরমাসকে শুভ কাজের জন্য শুভ সময় হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। সূর্য বৃহস্পতির রাশিচক্রে প্রবেশ করার সময় থেকে খরমাস শুরু হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে সূর্যের গতি কমে যায়।
এই কারণে বাগদান, মুণ্ডন, বিবাহ, নামকরণ, যজ্ঞোপবীত, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি করা হয় না। নতুন বাড়ি নির্মাণ ও নতুন ব্যবসা শুরু করাও হয় না। এবার খরমাস মাস ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এমন পরিস্থিতিতে ১৪ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত মাঙ্গলিক কাজ নিষিদ্ধ থাকবে। মাস সংক্রান্ত কিছু বিশেষ নিয়ম শাস্ত্রে বলা হয়েছে। খরমাস, যা প্রত্যেকের অনুসরণ করা উচিত।
এই নিয়মগুলি মনে রাখবেন:
খরমাস দান ও পুণ্যের মাস। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই মাসে, কোনও স্বার্থপরতা ছাড়াই, কেউ দান করার পুনর্নবীকরণযোগ্য পুণ্য পায়। তাই খারমাস মাসে যতটা সম্ভব অভাবীকে দান করা উচিত।
এই মাসটি ভগবান বিষ্ণু ও শ্রী কৃষ্ণের বিশেষ পূজার মাস। এমন অবস্থায় নিয়মিত গীতা পাঠ করা উচিত। বিষ্ণু সহস্রনাম পড়ুন এবং ভগবান কৃষ্ণ ও বিষ্ণুর মন্ত্রগুলি জপ করুন।
খরমাসে তুলসী পূজা করলে উপকার পাওয়া যায়। সন্ধ্যায় তুলসী গাছের সামনে ঘি এর প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এতে করে আপনার জীবনের সমস্যা কমে যাবে।
খরমসের সময়, প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে সূর্যকে জল দেওয়া উচিত। বিশ্বাস করা হয় এই সময়ে সূর্যদেব দুর্বল থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর পূজা করা শুভ বলে মনে করা হয়।
খরমাস মাসে গরু সেবার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ সময় গরুর পূজা করুন। হলুদের তিলক লাগিয়ে গুড় ও ছোলা খাওয়ান। সবুজ পশুখাদ্য খাওয়ান। এতে শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ কৃপা পাওয়া যায়।
খারমাসে সাত্ত্বিক জীবনযাপন করা উচিত। খাট ছেড়ে মাটিতে ঘুমানো শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়া পাতায় খাবার খাওয়া শুভ বলে মনে করা হয়।
এই ভুলগুলো করবেন না
বিবাহের কাজ, গৃহপ্রবেশ, ভূমি পূজা, শেভিং ইত্যাদি কোনো শুভ কাজ করবেন না।
আপনার মনে কারো প্রতি খারাপ অনুভূতি আনবেন না। কারো সাথে ঝগড়া বা মিথ্যা কথা বলবেন না।
এই মাসে মাংস-মদ ও মদ সেবন করবেন না। সম্ভব হলে পেঁয়াজ এবং রসুনও এড়িয়ে চলুন।