হিমাচল প্রদেশের সুন্দর উপত্যকায় অনন্য এবং বিস্ময়কর জিনিস রয়েছে যা আপনাকে অবাক করে তুলতো পারে। হিমাচল প্রদেশকে দেশের শীতলতম এবং তুষারময় রাজ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এত ঠাণ্ডা হওয়া সত্ত্বেও এখানে গরম জলের অনেক উৎস রয়েছে,যাকে আমরা উষ্ণ প্রসবণ বলে থাকি। যা খুবই আশ্চর্যজনক।
পার্বতী নদীর তীরে রয়েছে একটি অলৌকিক ও সুন্দর শিব মন্দির। যে মন্দিরের ভিতরে রয়েছে উষ্ণ প্রসবন। এই উষ্ণ জল মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। ঐতিহাসিক এই শিবমন্দিরের পাশেই রয়েছে গুরু নানকের পবিত্র গুরুদ্বার। দুটি ভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রাকৃতিক ও আধ্যাত্মিক অনুভূতিতে মন্ত্রমুগ্ধকর হোন পর্যটক ও ভক্তরা।
একদিকে এই নদীর তাপমাত্রা বরফের মতো ঠান্ডা অন্যদিকে সূর্যের গরম তাপমাত্রা। ভক্তরাও এই গরম জলে স্নান করেন। বলা হয়ে থাকে যে, এই গ্লাসের জল থেকে যদি চা তৈরি করা হয়, তবে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক চিনি যোগ করলেও চা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত চিনি তৈরি হয়। পর্যটকদের জন্য গরম জলেতে সিদ্ধ করে চালও বিক্রি করা হয় এবং অনেকে আবার স্নানের জন্য জল নেন।
পার্বতী উপত্যকার পার্বতী নদীর তীরে হিমাচল প্রদেশের এই কুল্লু শহরে অবস্থিত। মণিকর্ণ হিন্দু এবং শিখদের জন্য একটি বিখ্যাত তীর্থস্থান। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মহাদিদেব শিব এবং দেবী পার্বতী এই স্থানে ১১ হাজার বছর ধরে একসঙ্গে তপস্যা । শুধু দেশ-বিদেশ থেকে নয় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। এখানকার উষ্ণ গন্ধকযুক্ত জলেতে স্নান করলে অনেক রোগের নিরাময় হয়। তারমধ্যে বাত ও হাতের অসুখ সেরে যায়।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, পার্বতীর কর্ণ বলিদানের কারণে এই স্থানটির নামকরণ হয়েছে। হিমাচলের মান্ডি জেলার কার্সোগ সহ সতলুজের সংলগ্ন স্থানটিকে নাম অনুসারে তত্তাপানি বলা হয়। তত্তপানি মানে গরম জল, এর অর্থ এখানে গরম জলের উৎস। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
আরও পড়ুন: Ram Navami 2022: আজকের দিনেই জন্মেছিলেন শ্রীরাম! এই উত্সবের গুরুত্ব ও ইতিহাস কী, জানুন