এ এক অনন্য দশেরা। সারা দেশজুড়ে দশেরার দিন রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে রামের জয়োত্সব পালন করা হয়। অশুভ যা কিছু, তার বিনাস হয় এদিন। অন্যদিকে মহিষমর্দিনীর হাতে বধ হন অসুররাজ মহিষাসুর। বিজয়া দশমীর দিন এই অশুভ শক্তির বিনাসকারীদের নিয়ে সারা দেশেই উত্সব চলে। দশেরার উত্সব বিশ্ববিখ্যাত। হিমাচলের কুলুর দশেরার উত্সব আন্তর্জাতিকমানের। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই দশেরায় অংশগ্রহণ করেন। তবে এবারের চমক হল, ৩৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী দশেরায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই এবছরের দশেরায় আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, আজ থেকে শুরু হওয়া উত্সব চলবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
দশেরার দিন সকাল থেকেই কুলুর রাস্তায় ঢাক-ঢোল নিয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড় নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। আশ্বিন মাসের দশমী থেকে শুরু হয় এই উত্সব। প্রসঙ্গত কুলুতে অনুষ্ঠিত সাত দিনব্যাপী দশেরারর মেলা হিমাচলের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রতীক।
কুলুর দশেরা উৎসব ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সারা ভারতে বিজয়াদশমী শেষ হওয়ার দিন থেকে কুলু উপত্যকায় এই উৎসবের রঙ আরও বাড়তে শুরু করে। কুলুতে বিজয়াদশমী উৎসব পালনের প্রথা রাজা জগৎ সিংয়ের সময় থেকে বলে মনে করা হয়।
তাৎপর্য
দেশের সব রাজ্যে যখন দশেরার মধ্যে দিয়ে উত্সব শেষ হয়, তখন কুলুতে এদিন থেকেই শুরু হয়ে সাতদিনের উত্সব। এখানে দশেরার মাহাত্ম্য ও তাত্পর্য় একেবারে আলাদা। দশেরার দিন থেকে উত্সব চালু হলেও এখানে রাবণ দহন করা হয় না। এখানকার মানুষের বিশ্বা,, এই দিন মর্তে প্রায় ১০০০ দেব-দেবী নেমে আসেন ও এই মহামিলন উত্সবে যোগ দেন। এটাই এখানকার ঐতিহ্য। হিমাচলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দশেরা ভগবান রঘুনাথের বিশাল রথযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়। সমস্ত স্থানীয় দেবতারা এদিন ঢাক-ঢোলের সুরে তাল মিলিয়ে দেবতাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রসঙ্গত, হিমাচলের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই আলাদা আলাদা দেবতার আরাধনা করা হয়। সেই দেবতারাই গ্রামে কর্তা হিসেবে মনে করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস বরফ শীতল আবহাওয়া ও সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেবতাদের কৃপায় পাহাড়ের ঢালে বসবাস করতে সক্ষম।
ইতিহাস
১৬৬২ সালে ধলপুর ময়দানে প্রথমবারের জন্য দশেরা উত্সব পালিত হয়েছিল। সেই থেকেই দেবতাদের ঐতিহ্য থেকে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কোনও ধরনের বাণিজ্য় বা কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেই পুরনো আমলের প্রথা চোখে পড়েছিল। ২ বছর পর ফের দশেরার এই বিশেষ অনুষ্ঠানকে নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে পুরোদমে। দশেরার প্রথম দিনে দশেরার দেবী ও মানালির হিড়িম্বা দেবী কুলুতে আসেন। সঙ্গে স্বর্গের সব দেব-দেবীরা আশীর্বাদ নিতে আসেন।
রঘুনাথজি হিমাচলের সবচেয়ে বড় দেবতা
কথিত আছে ১৬৫০ সালে কুলুর রাজা জগত্ সিং একটি ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হন। এই অবস্থায় এক বাবা পাইহারি তাঁকে জানিয়েছিলেন, অযোধ্যার ত্রেতানাথ মন্দির থেকে ভগবান রঘুনাথের মূর্তি আনলে তবেই তাঁর পায়ের চিকিত্সা করা হবে। অনেক সংগ্রামের পর কুলুতে রঘুনাথের মূর্তি স্থাপন করা হয় ও রাজা জগত সিং এখানে সমস্ত দেবতাদের আমন্ত্রণ জানান। এর পর থেকেই ভগবান রঘুনাথজিকে সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা বলে মনে করা হয়। ঈশ্বরের মিলনের প্রতীক হিসেবে দশেরার উত্সব শুরু হয়েছিল, যা এখনও অবধি অব্যাহত।
এ এক অনন্য দশেরা। সারা দেশজুড়ে দশেরার দিন রাবণের কুশপুতুল পুড়িয়ে রামের জয়োত্সব পালন করা হয়। অশুভ যা কিছু, তার বিনাস হয় এদিন। অন্যদিকে মহিষমর্দিনীর হাতে বধ হন অসুররাজ মহিষাসুর। বিজয়া দশমীর দিন এই অশুভ শক্তির বিনাসকারীদের নিয়ে সারা দেশেই উত্সব চলে। দশেরার উত্সব বিশ্ববিখ্যাত। হিমাচলের কুলুর দশেরার উত্সব আন্তর্জাতিকমানের। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই দশেরায় অংশগ্রহণ করেন। তবে এবারের চমক হল, ৩৭২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য কোনও প্রধানমন্ত্রী দশেরায় যোগ দিয়েছিলেন। তাই এবছরের দশেরায় আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। প্রসঙ্গত, আজ থেকে শুরু হওয়া উত্সব চলবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
দশেরার দিন সকাল থেকেই কুলুর রাস্তায় ঢাক-ঢোল নিয়ে বিশাল সংখ্যক মানুষের ভিড় নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। আশ্বিন মাসের দশমী থেকে শুরু হয় এই উত্সব। প্রসঙ্গত কুলুতে অনুষ্ঠিত সাত দিনব্যাপী দশেরারর মেলা হিমাচলের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রতীক।
কুলুর দশেরা উৎসব ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সারা ভারতে বিজয়াদশমী শেষ হওয়ার দিন থেকে কুলু উপত্যকায় এই উৎসবের রঙ আরও বাড়তে শুরু করে। কুলুতে বিজয়াদশমী উৎসব পালনের প্রথা রাজা জগৎ সিংয়ের সময় থেকে বলে মনে করা হয়।
তাৎপর্য
দেশের সব রাজ্যে যখন দশেরার মধ্যে দিয়ে উত্সব শেষ হয়, তখন কুলুতে এদিন থেকেই শুরু হয়ে সাতদিনের উত্সব। এখানে দশেরার মাহাত্ম্য ও তাত্পর্য় একেবারে আলাদা। দশেরার দিন থেকে উত্সব চালু হলেও এখানে রাবণ দহন করা হয় না। এখানকার মানুষের বিশ্বা,, এই দিন মর্তে প্রায় ১০০০ দেব-দেবী নেমে আসেন ও এই মহামিলন উত্সবে যোগ দেন। এটাই এখানকার ঐতিহ্য। হিমাচলের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, রীতিনীতি এবং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দশেরা ভগবান রঘুনাথের বিশাল রথযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়। সমস্ত স্থানীয় দেবতারা এদিন ঢাক-ঢোলের সুরে তাল মিলিয়ে দেবতাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। প্রসঙ্গত, হিমাচলের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই আলাদা আলাদা দেবতার আরাধনা করা হয়। সেই দেবতারাই গ্রামে কর্তা হিসেবে মনে করা হয়। স্থানীয়দের বিশ্বাস বরফ শীতল আবহাওয়া ও সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও দেবতাদের কৃপায় পাহাড়ের ঢালে বসবাস করতে সক্ষম।
ইতিহাস
১৬৬২ সালে ধলপুর ময়দানে প্রথমবারের জন্য দশেরা উত্সব পালিত হয়েছিল। সেই থেকেই দেবতাদের ঐতিহ্য থেকে শুরু হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কোনও ধরনের বাণিজ্য় বা কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সেই পুরনো আমলের প্রথা চোখে পড়েছিল। ২ বছর পর ফের দশেরার এই বিশেষ অনুষ্ঠানকে নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে পুরোদমে। দশেরার প্রথম দিনে দশেরার দেবী ও মানালির হিড়িম্বা দেবী কুলুতে আসেন। সঙ্গে স্বর্গের সব দেব-দেবীরা আশীর্বাদ নিতে আসেন।
রঘুনাথজি হিমাচলের সবচেয়ে বড় দেবতা
কথিত আছে ১৬৫০ সালে কুলুর রাজা জগত্ সিং একটি ভয়ানক রোগে আক্রান্ত হন। এই অবস্থায় এক বাবা পাইহারি তাঁকে জানিয়েছিলেন, অযোধ্যার ত্রেতানাথ মন্দির থেকে ভগবান রঘুনাথের মূর্তি আনলে তবেই তাঁর পায়ের চিকিত্সা করা হবে। অনেক সংগ্রামের পর কুলুতে রঘুনাথের মূর্তি স্থাপন করা হয় ও রাজা জগত সিং এখানে সমস্ত দেবতাদের আমন্ত্রণ জানান। এর পর থেকেই ভগবান রঘুনাথজিকে সর্বশ্রেষ্ঠ দেবতা বলে মনে করা হয়। ঈশ্বরের মিলনের প্রতীক হিসেবে দশেরার উত্সব শুরু হয়েছিল, যা এখনও অবধি অব্যাহত।