ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Pushpanjali) দেওয়ার ভিড় করার ছবি চোখে পড়েছে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার (Goddess Durga) কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষমর্দিনী। প্রতিবছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়।
বাঙালির প্রাণের পুজোয় এই ব্রতের গুরুত্ব যে থাকবে তা স্বাভাবিকই। উপোস করে দেবীর সামনে অঞ্জলি দেন মহিলা-পুরুষ উভয়েই। সারাদিন নিরামিষ খেয়ে এদিনটি পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে। এই অষ্টমী তিথিতে দেবীর পুজো করে জীবনের সব সমস্যা ও ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এই বিশেষ দিনটি নিয়ে বিভিন্ন প্রচলিত বিশ্বাসও রয়েছে। তবে জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এর গুরুত্ব রয়েছে আলাদাভাবে। অনেকে জানেনই না এই দিনের মাহাত্ম্য।
পৌরাণিক কাহিনি
একটা সময় ভয়ংকর সব অসুরদের দিনের পর দিন অত্যাচারে অতিষ্ঠ দেবতারা। এমনকি নিজেদের অত্যন্ত শক্তিশালী মনে করে স্বর্গরাজ্য জয় করে সিংহাসন দখল করবে বলে আক্রমণও করে তারা। অসুররাজ মহিষাসুরের নির্দেশে দৈত্যসেনারা স্বর্গরাজ্য আক্রমণ করলে দেবতারা সেখান থেকে পালিয়ে যান। মহাদেবের কাছে আশ্রয় ও প্রতিকার চাইলে সর্বশক্তিমান দেবী দুর্গার আর্বিভাব হয়। প্রত্যেক দেবতাদের অস্ত্রের দ্বারা সজ্জিত হয়ে অসুরকূল ও অসুররাজকে বধ করেন তিনি। দেবীকে অস্ত্রে সুসজ্জিত করে শক্তিশালী করার এই দিনটিই অষ্টমী হিসেবে পালন করা হয়।