হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শারদীয়া নবরাত্রি শুরু হয় এবং হিন্দু ধর্মে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে যে দুর্গার বিভিন্ন রূপের ৯ দিন ধরে পূজা করলে তিনি খুশি হন । দেবলোকের সর্বশক্তিময়ী তার ভক্তের প্রতি সন্তুষ্ট হলে তাকে জীবনে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না। এই বছর নবরাত্রি ২৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। যদি এই সময়ে, আপনি যদি দুর্গার কৃপা পেতে চান, তাহলে দেরি না করে ঘর থেকে কিছু জিনিস বের করুন। কারণ নবরাত্রিতে এই জিনিসগুলি আপনার বাড়িতে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ছেঁড়া পুরনো জুতা- নবরাত্রির সময় ঘর পরিষ্কার করা হয় কারণ এই ৯ দিনে দেবী দুর্গা বাড়িতে আসেন। তাই দেরি না করে ঘরে থাকা জীর্ণ ও ছেঁড়া জুতা ও চপ্পল বের করে নিন। কারণ এগুলোর কারণে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসে। রান্নাঘরে থাকা ভাঙা বাসনগুলো ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
রসুন-পেঁয়াজ এবং অ্যালকোহল- দুর্গাপুজোর ৫দিন ধরে দেবী দুর্গার পূজা করা হয় এবং সকাল-সন্ধ্যা ভোগ নিবেদন করা হয়। এমন অবস্থায় ঘরে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক খাবার ব্যবহার করা উচিত। আপনার বাড়িতে যদি রসুন এবং পেঁয়াজ থাকে, তাহলে নবরাত্রির আগে সেগুলো ফেলে দিন। কারণ এগুলো তামসিক খাবারের অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও, মাংস এবং মদ ইত্যাদিও ঘরে থাকা উচিত নয়।
বন্ধ ঘড়ি- বাস্তু মতে, বন্ধ ঘড়ি কখনই ঘরে রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে পুজো ও শুভ কাজে বন্ধ ঘড়ি রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়। তাই দেরি না করে, হয় বন্ধ ঘড়িতে নতুন ব্যাটারি দিয়ে সারিয়ে ফেলতে পারেন। এতে আপনার উন্নতিতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
খারাপ বা পচা খাবার- নবরাত্রির প্রথম দিনে ঘর ও মন্দির পরিষ্কার করে তাজা খাবার তৈরি করা হয়। আপনার বাড়িতে যদি অবশিষ্ট খাবার বা খারাপ আচার পড়ে থাকে, তাহলে তাও দ্রুত ফেলে দিন। দুর্গা খারাপ খাবারের গন্ধে বিরক্ত হন এবং আপনাকে তার বিরক্তি সহ্য করতে হতে পারে।
ভাঙা মূর্তি- আপনার বাড়ির মন্দিরে যদি ভাঙা মূর্তি রাখা থাকে, তাহলে নবরাত্রির আগে সেগুলো ফেলে দিন। কারণ ভাঙা মূর্তি দুর্ভাগ্যের কারণ হয়। অতএব, তাদের একটি নদী বা পুকুরে বিসর্জম দিয়ে দেওয়া উচিত।