Holi 2022: ‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল…’ ন্যাড়া পোড়া কী?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Mar 08, 2022 | 6:10 AM

Dolyatra: 'দোল' ও 'হোলি' নিয়ে নানা মতভেদ ও ফারাক থাকলেও এই রঙের উৎসবে মেতে ওঠার আগে পালিত হয় 'হোলিকা দহন'।

Holi 2022: আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল... ন্যাড়া পোড়া কী?
দোলের আগের দিন রাতে পালিত হয় ন্যাড়া পোড়া।
Image Credit source: istockphoto.com

Follow Us

বাংলায় একটা মজার ছড়া রয়েছে, ‘আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া, কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।’ কিন্তু এই ছড়ার আক্ষরিক অর্থ অনেকেরই অজানা। ‘দোল’ (Dol) ও ‘হোলি’ (Holi) নিয়ে নানা মতভেদ ও ফারাক থাকলেও এই রঙের উৎসবে মেতে ওঠার আগে পালিত হয় ‘হোলিকা দহন’। এই হোলিকা দহনই (Holika Dahan) হল বাংলায় ন্যাড়া পোড়া। দোলের আগের দিন রাতে পালিত হয় এই উৎসব। এর পিছনে রয়েছে আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও।

এই ন্যাড়া পোড়ার হল অশুভ শক্তির বিনাশ। এই দিন শুকনো ডাল, কাঠ এবং শুকনো পাতা জোগাড় করা হয়। সেগুলোকে স্তূপাকার করে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয়। ন্যাড়া পোড়া হল মন্দের উপর ভালর জয়ের প্রতীক। যুগ যুগ ধরে এই রীতি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। তাই ন্যাড়া পোড়ার পর সবাই সেই ছাই  শরীর ও কপালে ছোঁয়ায়। বিশ্বাস করা হয় যে, এতে অশুভ শক্তি ছায়া জীবনের ওপর পড়ে না। আগামী ১৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা বেজে ২৭ মিনিট থেকে শুরু হবে ন্যাড়া পোড়ার শুভ তিথি। এই তিথি শেষ হবে ১৮ মার্চ, শুক্রবার রাত ১২টা বেজে ৪৭ মিনিটে।

পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে ন্যাড়া পোড়ার। কথিত আছে, রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপ তাঁর প্রজাদের পুজো অর্চনা করা বন্ধ করে দেন। অমরত্ব লাভের জন্য তিনি ব্রহ্মার তপস্যা করা শুরু করেন। তাঁর তপস্যায় খুশি হয়ে ব্রহ্মা তাঁকে পাঁচটি ক্ষমতা দান করেন। ব্রহ্মার দেওয়া এই পাঁচটি বর হল- কোনও মানুষ বা কোনও প্রাণী তাঁকে মারতে পারবে না। ঘরের ভেতরে বা ঘরের বাইরে তাঁর মৃত্যু হবে না। তাঁর মৃত্যু দিনেও হবে না, রাতেও হবে না। অস্ত্র দ্বারাও হবে না, এমনকি শস্ত্র দ্বারাও হবে না। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যু জমিতেও হবে না, জলেও হবে না, শূন্যেও হবে না।

এই বর পাওয়ার পর হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার বাড়তে থাকে। কিন্তু তাঁর সন্তান প্রহ্লাদ বিষ্ণুর পরম ভক্ত। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাঁর জন্য নিজের বোন হোলিকার সাহায্য নেন হিরণ্যকশিপু। হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে একটি শাল পেয়েছিলেন। এই শাল তাঁকে সবসময় রক্ষা করবে বলে জানিয়েছিলেন ব্রহ্মা। হোলিকা বলেন তিনি প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনের মধ্যে বসবেন। শাল থাকায় তাঁর কিছু হবে না কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। যেই প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করেন, তখনই গায়ের শালটি তাঁর কাছ থেকে প্রহ্লাদের গায়ে গিয়ে পড়ে। তাই প্রহ্লাদের কিছু না হলেও পুড়ে ছাই হয়ে যান হোলিকা। হোলিকার মৃত্যু থেকেই শুরু হয় হোলিকা দহন প্রথা। আজও দোলের আগের দিন হোলিকা দহন করে মনের সব পাপ, অশুচি, লোভ, হিংসে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: এই দোল উৎসবে মেতে উঠুন রঙে! রাশি অনুযায়ী বেছে নিন শুভ রঙ

Next Article