Padmini Ekadashi 2023: অধিকমাসে এদিন উপবাস রাখলেই মিলবে ১০ গুণ বেশি পুণ্য! জানুন শুভ মুহূর্ত ও তারিখ
Ekadashi Fast: পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, পদ্মিনী একাদশীর উপবাস পালিত হবে আগামী শনিবারস ২৯ জুলাই। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই উপবাসকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। নিয়ম মেনে উপবাসের দিন বিশেষ দান করলে তার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, ১৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে মলমাস। এই মাসকে হিন্দু ধর্মে অশুভ মাস হিসেবেও ধরা হয়। মলমাসকে হিন্দু ধর্মে অধিকমাস। শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালন করা হয় পদ্মিনী একাদশী। এছাড়া এটি পুরুষোত্তম একাদশী ও সুমাদ্রা একাদশী নামেও পরিচিত। সাধারণত ৩ বছর অন্তর পালিত হয় এই অধিকমাস। আর এই অধিকমাসেই বিশেষ একাদশীর দিন পালিত হয় পদ্মিনী একাদশী। হিন্দু ধর্মে একাদশী ব্রত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অধিকমাস ও একাদশী উভয়ই বিষ্ণুর অত্যন্ত প্রিয়। এদিন উপবাস পালন করলে সারা বছরের একদশীর পুণ্য লাভ করা সম্ভব হয়। তাহলে মলমাসের পদ্মিনী একাদশী তিথি, শুভ সময় ও গুরুত্ব কী কী, তা জেনে নিন এখানে…
পদ্মিনী একাদশী ২০২৩
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, পদ্মিনী একাদশীর উপবাস পালিত হবে আগামী শনিবারস ২৯ জুলাই। পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই উপবাসকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। নিয়ম মেনে উপবাসের দিন বিশেষ দান করলে তার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এই মাসে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করলে অন্যান্য মাসের তুলনায় ১০ গুণ ফল পাওয়া যায়।
পদ্মিনী একাদশীর শুভ মুহুর্ত
পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, অধিকমাসের শুক্লপক্ষের পদ্মিনী একাদশী শুরু হবে ২৮ জুলাই, ২ টো ৫১ মিনিট থেকে। শেষ হবে ২৯ জুলাই, বেলা ১টা ৫ মিনিটে।
পূজার সময়: ৭টা ২২ মিনিট থেকে ৯ টা ৪ মিনিট পর্যন্ত,
পদ্মিনী একাদশী ব্রত পালন করার সেরা সময় – ভোর ৫টা ৪১ মিনিট থেকে বেলা ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
তাৎপর্য
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যে ভক্তরা অধিকমাসের পদ্মিনী একাদশীতে উপবাস পালন করলে জীবনের সব আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। কারণ ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। পুরাণে বলা হয়েছে, এই উপবাসের চেয়ে বড় কোনও যজ্ঞ বা তপস্যা বা দানছত্র হতে পারে না। মনমাসের একাদশীর দিন উপবাস করলে শুধু বিষ্ণুতে তুষ্ট করা হয়, তাই নয়, পুজোর নিয়মকানন মানলে বিষ্ণুও অপার আশীর্বাদ বর্ষণ করেন।
পুজোবিধি
– একাদশীর দিন সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে উঠে তীর্থস্নান করা উচিত।
– জলে তিল, কুশ ও আমলা সামান্য গুঁড়া মিশিয়ে স্নান করুন।
– কেশর মিশ্রিত জলে শ্রী হরি বিষ্ণুকে অভিষেক করুন।
– ভজন বা ভগবানের মন্ত্র পাঠ করতে পারেন। কাহিনিপাঠও শুনতে পারেন।
– বিষ্ণু সহস্ত্রনাম পাঠ করুন ও ব্রাহ্মণদের বি্শেষ কিছু দান করুন।
