রথযাত্রার দিন থেকে অঘটন ঘটেই চলছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরীর শ্রীমন্দির। এবার যেটা হল তাতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বলরামের মূর্তি। মঙ্গলবার রাতে, জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দেওয়ালের প্লাস্টার ভেঙে পড়ে। মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন গর্ভগৃহের ভিতর রত্ন সিংহাসনের কাছের দেওয়ালের একাশের লাইম প্লাস্টার খসে পড়ে। প্রায় দেড় কেজি ওজনের ওই প্লাস্টারের চাঙ্গর নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও উদ্বেগ কমেনি মন্দির কর্তৃপক্ষের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। তবে এ প্রসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষে দাবি, এটি প্লাস্টার নয়, লাইমস্টোনের কিছু অংশ। ফলে তদন্তে নেমে সত্যিটা জানতে মাঠে নেমে পড়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার জেরে রীতিমত চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন ভক্তরা। বার বার দুর্ঘটনায় কি কোনও অশুভ ইঙ্গিত বহন করে কিনা সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে মন্দিরের ঘটে যাওয়া নানান ঘটনায় অশনিসংকেত দেখছেন ভক্তরা। তবে মন্দির কমিটির দাবি, আজ একটি ছোট পাথর খসে পড়েছে, কাল একটি বড় চুনাপাথর পড়ে কোনও বিপদ ঘটতে পারে। যে কারণ এই প্লাস্টার পড়ে গিয়েছে, এর জন্য কে দায়ী, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এ সবের তদন্ত হবে মন্দিরের স্টিয়ারিং কমিটি জানিয়েছে।
একই সঙ্গে এএসআইয়ের এক ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, জগন্নাথ মন্দিরটি প্রাচীন শৈলীতে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে মন্দিরের ভেতরে এসি ফ্যান বসানোয় গর্ভগৃহে সারাক্ষণ ঠান্ডা বাতাস বিরাজ করে। তবে মন্দিরের গঠন মোটেও এমনটা নয়। তাই গর্ভগৃহের দেওয়াল এসির ঠান্ডা বাতাস সহ্য করতে পারছে না। মঙ্গলবারের দুর্ঘটনায় বুধবার সকাল থেকেই ছিল চাপা উত্তেজনা। এদিন ভক্তদের জন্য ৪ ঘণ্টা মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ব্যহত হয়েছে মন্দিরের পুজোর বিভিন্ন কাজকর্ম। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেওয়াল ভেঙে পড়ার সঙ্গে মন্দিরের পুজো বন্ধ রাখার কোনও সম্পর্ক নেই। জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের মূর্তির শৃঙ্গারও করা হয়েছে।