Guru Nanak Jayanti 2021: নানকপন্থী উপদেশ শুনতেন রামকৃষ্ণ! গুরু নানকের জীবনের সঙ্গে তাঁর রয়েছে অনেক মিল

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 19, 2021 | 6:15 AM

মাংস খাওয়া উচিত নাকি সবজি, এসব নিয়ে মূর্খেরা তর্ক করে! কোনটি মাংস এবং কোনটি সবজি, সেটি কে ঠিক করে দিয়েছে? আর কোনটি খেলে পাপ হবে, সেটাই বা আসলে কে জানে!- গুরুনানকের বাণী।

Guru Nanak Jayanti 2021: নানকপন্থী উপদেশ শুনতেন রামকৃষ্ণ! গুরু নানকের জীবনের সঙ্গে তাঁর রয়েছে অনেক মিল
গুরু নানকের জীবনের সঙ্গে রামকৃষ্ণের রয়েছে অনেক মিল

Follow Us

গুরু নানকের সঙ্গে শ্রীরামচন্দ্রের জীবনাচরণের বেশ কিছু সাদ্শ্য রয়েছে। গুরু নানকের জীবনী থেকে জানা যায়, শৈশবে অধিকাংশ সময়ই ধর্মপ্রাণ নানক গ্রামসংলগ্ন বনে আপনমনে একা একা ঘুরে বেড়াতেন। বনে সেই সময় বহু সাধু তপস্যা করতেন। নানক সুযোগ পেলেই তাঁদের কাছে গিয়ে বসতেন। সেবা করতেন ও ধর্মোপদেশ শুনতেন। এইভাবেই শৈশবে তিনি প্রচলিত ভারতী ধর্মমতগুলি বিষয়ে মোটামুটি ধারণা লাভ করেন। ক্রমে ধীরে ধীরে ধ্যানের রহস্য জানতে চেষ্টা করলেন ও নির্জনে বসে পরমেশ্বরের ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। এমন ঘটনা শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনেও দেখা যায়। ছোট থেকেই সাধুসঙ্গের ফলে তিনি ধ্যান করার শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।

পাঠান ও মোঘল রাজত্ব চলাকালীনই তিনি উত্তরভারতকে ধর্মান্তরীকরণের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। হিন্দু ধর্মে হওয়া সত্বেও ভিন্ন ধর্মের প্রতি গুরু নানক ছিলেম প্রগাঢ় শ্রদ্ধাশীল। শ্রীরামকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে উনবিংশ শতকে। তখন ব্রিটিশ রাজ। দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরে নানকপন্থী সাধুসঙ্গ তিনি পরম উত্‍সাহে যোগদান করতেন। সকলধর্মের প্রতি রামকৃষ্ণের ছিল শ্রদ্ধা। কালীবাড়ির কাছে বারুদখানায় কর্মরত শিখ সেপাইদের সঙ্গে ছিল তাঁর অবাধ মেলামেশা। তাঁদের কাছ থেকে নানকের বাণী ও উপদেশ শুনতেন।

উপনয়নকালে ব্রাহ্মণের বর্ণচিহ্ণ উপবীত ধারণ করেননি নানাক। অন্যদিকে শ্রীরামকৃষ্ণও সাধনকালে উপবীত ত্যাগ করেছিলেন। শৈশবে উপবীত ধারণ করলেও পরে সত্যপালনকেই শ্রেষ্ঠ বলে চিহ্নিত করেছিলেন গদাধর।

যৌবনে সাধনকালে গভীর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন নানক। বহুসময় ঈশ্বরের বিরহে তাঁর চোখ দিয়ে অবিরত জল গড়িয়ে পড়ত। এমনকি এমন ঘটনার জন্য উন্মাদ বিশেষনও জুটেছিল। পরবর্তীকালে নানক ঈশ্বরের নির্দেশ পেয়েছিলেন। একই ঘটনা ঘটে শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনেও। গভীর ধ্যানে তিনি প্রায়ই নিমগ্ন হয়ে পড়তেন। ধ্যানের সমন অদ্ভূত আচরণ করায় সাধারণ মানুষ তাঁকে পাগল বলে ভাবত। দীর্ঘকাল সাধনার পর শ্রীরামকৃষ্ণ জগন্মাতার দর্শন লাভ করেছিলেন।

গুরুনানক জাতিভেদ মানতেন না। ধর্মপ্রচারকালে তিনি তাঁর ভক্ত অস্পৃশ্য লালোর গৃহে আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনেও রসিক মেথর প্রমুখ বহু অস্পৃশ্য ভক্তকে কৃপা করার কথা জানা যায়।

আরও পড়ুন: Guru Nanak Jayanti 2021: গুরু নানকের ১০ বাণী, যা জীবনের বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি জোগাবে

Next Article