জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, পয়লা জুলাই মাসে পয়লা তারিখে পালিত হচ্ছে শনি প্রদোষ ব্রত। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষে পালিত হয় প্রদোষ ব্রত। শনিবার এমনিতেই বিশেষ, তার উপর প্রদোষ ব্রত পালিত হওয়ায় আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। জ্যোতিষ মতে, এই শনি প্রদোষ ব্রতে যুক্ত হয়েছে তিনটি বিরল ও শুভ যোগ। আর এদিন মহাদেবের রুদ্রাভিষেক করার জন্য সবচেয়ে সেরা দিন বলে বিবেচিত হয়। শিববাস সকাল থেকে রাত ১১টা ৭ মিনিট পর্যন্ত এই ব্রত পালন করতে পারবেন শিবভক্তরা। মনে করা হয়, শনি প্রদোষের দিনে উপবাস করলে ভোলেনাথের আরাধনা করা সমান। মনে করা হয়, এদিন ব্রত ও উপবাস পালন করলে মহাদেবের কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিরা সন্তানের সুখ পেয়ে থাকেন। তবে প্রদোষ ব্রতের গুরুত্বও দিনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। প্রতি মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে প্রদোষ উপবাস পালন করা হয়।
শনি প্রদোষ ব্রত ২০২৩
আষাঢ় শুক্লের ত্রয়োদশী তিথি শুরু হয়েছে: পয়লা জুলাই, ভোর ১টা ১৬ মিনিট
আষাঢ় শুক্লার ত্রয়োদশী তিথি শেষ হবে: ১ জুলাই, রাত ১১:০৭ মিনিট পর্যন্ত
শুভ যোগ: সকাল থেকে রাত ১০.৪৪ মিনিট পর্যন্ত
শুক্লা যোগ: আজ, রাত ১০টা ৪৪ মিনিট থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত
রবি যোগ: আজ,দুপুর ৩টে ৫ মিনিট আগামীকাল সকাল ৫ টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত
শনি প্রদোষে শিব পূজার মুহুর্ত: আজ, সন্ধ্যে ৭টা ২৩ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত
উপবাস ও পূজা পদ্ধতি
সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্নান করুন। বাসি জামাকাপড় ছেড়ে পরিষ্কার বা নতুন পোশাক পরুন। তারপর শনি প্রদোষ ব্রত ও শিব পূজার সংকল্প করুন। প্রতিদিন সকালে পুজো করতে পারেন। সারাদিন ভগবান শিবের ভক্তি ও স্তোত্রে সময় কাটান। ব্রহ্মচর্যের নিয়ম মেনে প্রতিহিংসামূলক জিনিস থেকে দূরে থাকুন। উপবাস রাখলে দিনের বেলায় ফল খেতে পারেন।
সন্ধ্যায় পূজার মুহুর্তে জীবনে লাভ-উন্নতি করতে পুজো করুন সন্ধ্যে ৭টা ২৩ মিনিট থেকে রাত ৮ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে শিব মন্দিরে গিয়ে বা বাড়িতে শিবলিঙ্গের পুজো করুন। প্রথমে গঙ্গাজল ও গরুর দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। এরপর ভোলেনাথকে ফুল, অক্ষত, চন্দন, বেলপত্র, ভাং, যজ্ঞোপবীত, আকন্দ ফুল, ধতুরা, শমী পাতা, ফল, মিষ্টি, মধু ইত্যাদি নিবেদন করুন।
এরপর শিব চালিসা পড়ুন ও শনি প্রদোষ ব্রত পাঠ করুন। এরপর ঘিয়ের প্রদীপ দিয়ে শিব, দেবী পার্বতী ও গণেশের আরতি করুন। পুজো হয়ে গেলে সন্তানসুখের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন।
গোটা রাত জেগে পরের দিন সকালে স্নান সেরে পুজোপাঠ করতে পারেন। সামর্থ্য অনুযায়ী কোনও দরিদ্র ব্রাহ্মণকে শিবের প্রিয় কিছু দান করতে পারেন।