হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতিটি মাসের নিজস্ব তাৎপর্য রয়েছে। শ্রাবণ মাস যেমন শিবকে উৎসর্গ করা হয়, তেমনি পৌষকে ভগবান সূর্যের উপাসনার জন্য বিশেষ তাৎপর্য বলে মনে করা হয়। এ বছর পৌষ মাস শুরু হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত থাকবে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে পৌষ মাসে নিয়মিত সূর্যের উপাসনা করলে একজন ব্যক্তি সুস্থ ও সমৃদ্ধ থাকে। এছাড়াও, তার কোন ধরনের ব্যথা নেই। পৌষ মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই ।
পৌষ মাসের তাৎপর্য-
পৌষ মাসকে অনেকে পুষ মাস বলেও ডাকেন। এই মাসে ঠান্ডা লাগে। পুরানো বিশ্বাস অনুসারে, পৌষ মাসে ভগবান সূর্যদেবের পূজা করা উচিত। পৌষ মাসে সূর্যের ভাগা নামের রূপটি পূজিত হয়। এই মাসে সূর্যকে অর্ঘ্য অর্পণের পাশাপাশি উপবাসের গুরুত্বও বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি পৌষ মাসে সূর্যদেবকে তিল ও চালের খিচুড়ি নিবেদন করতে হবে।
এই কাজগুলো করার চেষ্টা করুন-
১) পৌষ মাসে, সূর্য ওঠার আগে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রস্তুত হন। সূর্য উদিত হলে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
২) সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদনের সময় একটি তামার পাত্র ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে এই জলে গোলাপের পাপড়ি রেখে সূর্যদেবকে জল অর্পণ করুন।
৩) সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন ছাড়াও পৌষ মাসের প্রতি রবিবার গুড় দান করুন। এটি করলে সূর্যদেবও খুশি হন।
৪) বাড়ির ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় দুর্বল হলে প্রতিদিন সকালে সূর্যকে জল অর্পণ করতে হবে। প্রতি রবিবার তাকে গুড় ও রুটি দান করুন। এতে করে সূর্যদেব খুশি হবেন এবং শিশুদের ‘মানসিক তীক্ষ্ণতা’ প্রদান করবেন।
এসব থেকে দূরে থাকুন-
১) পৌষ মাসে লবণ খাওয়া কমাতে হবে।
২) এই মাসে সাদা চিনি ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন। পরিবর্তে গুড় ব্যবহার করুন।
৩) এটি সূর্য দেবতার মাস বলে মনে করা হয়, তাই এই মাসে কখনই বাসি খাবার খাবেন না।