চাণক্য নীতি বলেছেন যে লক্ষ্য যত বড়, সমস্যা তত বড়। দৃঢ়তার সঙ্গে এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার পরই আসে সাফল্য। একটি বড় লক্ষ্য অর্জনের জন্য, শুধুমাত্র কঠোর পরিশ্রম নয়, বেশ কিছু বিশেষ জিনিসেরও যত্ন নিতে হয়। কারণ প্রততি পদক্ষেপে ছোট ছোট পরিবর্তন অবশ্যই বড় সাফল্যের অংশ হয়ে ওঠে। চাণক্য নীতির একটি শ্লোকের মাধ্যমেই কাজ হাসিল করা সম্ভব। বলা হয়েছে যে লক্ষ্য অর্জনের জন্য কী কী বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন এবং কী কী কাজ যা ভুল করেও করা উচিত নয়।
মনসা চিন্তিকাম কার্য্য বচসা ন প্রকাশয়েত।
মন্ত্রেন রক্ষয়েদ রহস্যময় কর্ম চাপি নিয়োজয়েত।।
আচার্য চাণক্যের মতে, জীবনের সাফল্য কঠোর পরিশ্রম, কৌশল ও সময় ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। এই শ্লোকে, এই জিনিসগুলি ছাড়াও, চাণক্য এমন একটি কাজের কথা বলেছেন যা একজন ব্যক্তিকে তার গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ওষুধ হিসাবে বিবেচিত হয়। চাণক্য বলেছেন যে লক্ষ্যের জন্য মনের মধ্যে থাকা কাজের চিন্তা কারও সামনে প্রকাশ করা উচিত নয়, বরং এটিকে সাবধানে রক্ষা করে সম্পন্ন করা উচিত।
চাণক্য বলেছেন যে প্রতিপক্ষ আপনার পরাজয়ের পথের দিকে তাকিয়ে থাকে। শত্রু লক্ষ্য অর্জনের পথে অনেক ধরনের বাধা সৃষ্টি করে, তাই মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে তার ধারণাও থাকা উচিত নয়। আপনার কৌশল এবং পরিকল্পনা ভাগাভাগি করার সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত, কারণ আপনার একটি ছোট অসাবধানতা একটি বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
প্রভূতঙ্কর্যমালপবন্তনারঃ কর্তুমিছতি।
সর্বারম্ভেনত্তকর্যম সিংহদেকমপ্রাক্ষতে ॥
এই শ্লোকে আচার্য চাণক্য সিংহের উদাহরণ দিয়েছেন এবং বলেছেন যে সিংহের মতো শিকার পেতে কখনও লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয় না এবং সুযোগ পেয়ে আক্রমণাত্মক আক্রমণ করে। একইভাবে একজন ব্যক্তির উচিত তার লক্ষ্যের দিকে মনোনিবেশ করা।