শিব ও পার্বতী পুত্র গজানন গণেশ (Lord Ganesh) হিন্দুদের বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা। হিন্দুরা (Hindu) বিশ্বাস করেন আরাধনার মাধ্যমে গণেশ তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। সংস্কৃত, কন্নড়, তামিল ও তেলুগু ভাষায় এই উৎসব বিনায়ক চতুর্থী ( Vinayaka Chaturthi ) বা বিনায়ক চবিথি নামেও পরিচিত। বৃহস্পতিবার এমনিতেই সপ্তাহের সবচেয়ে শুভ ও লক্ষ্মীবার। তার উপর গণেশ চতুর্থীও পালন করা হবে। সোনায় সোহাগা একেবারে। বিনায়ক নামে জনপ্রিয় এবং সংকষ্টী চতুর্থী মাসে দুবার পালিত হয়। বিনায়ক চতুর্থী শুক্লপক্ষে পালিত হয় এবং দ্বিতীয়টি সংকষ্টী কৃষ্ণপক্ষে পালিত হয়। প্রতি মাসে শুক্লপক্ষ চতুর্থী তিথিতে পূজা করা হয়। বিনায়ক চতুর্থী একবার পালিত হয়।
তারিখ এবং সময়
এই মাসে বিনায়ক চতুর্থী পালিত হবে আগামী ৩ জুন।
শুভ মুহূর্ত
বিনায়ক চতুর্থীর শুভ মুহুর্ত হল সকাল ১০টা ৫৬ মিনিট থেকে থেকে রাত ১টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত।
তিথির সময়
চতুর্থী শুক্লপক্ষ শুরু হবে ৩ জুন রাত ১২টা ১৭ মিনিট থেকে ৪ জুন রাত ২টো ৪১ মিনিট পর্যন্ত।
ব্রতের নিয়ম
– ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠুন (সকালে)
-স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরুন, সংকল্প করুন
– ধ্যান করুন এবং উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
– ব্রত পালন করুন এবং পেঁয়াজ বা রসুন বা মাংসযুক্ত কোনও খাবার খাবেন না।
– ব্রহ্মচর্য বজায় রাখুন।
– তামাক এবং অ্যালকোহল সেবন নিষিদ্ধ।
– পূজা করে ভগবানকে মোদক ও মিষ্টি নিবেদন করুন। কমপক্ষে ১১টি মোদক প্রস্তুত করুন।
– ব্রতকথা পড়ুন এবং আরতি করুন।
– আরতি করার পরে এবং সূর্যাস্তের পরেই উপবাস শেষ করুন।
তাৎপর্য
বিঘ্নহর্তা বা ভগবান গণেশ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রিয় ঈশ্বর, ভক্তরা এই দিনে উপবাস পালন করেন এবং বাধা-মুক্ত জীবনের জন্য পূজা করেন কারণ গণেশকে ‘বাধা দূরীকরণকারী’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভগবান গণেশ সমৃদ্ধি, জ্ঞান এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। শ্রদ্ধা এবং ভক্তির চিহ্ন হিসাবে, ভক্তরা ভগবান গণেশের আশীর্বাদ পেতে ও জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে বিনায়ক চতুর্থীতে সারাদিন উপবাস পালন করেন