Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kaushiki amavasya 2023: দেবী কৌশিকী আসলে কে? সব অমাবস্যার চেয়ে এই অমাবস্যা কেন এত আলাদা?

Hindu Mythology: সনাতন ধর্মে কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে তো বটেই, ঐতিহাসিক তাত্‍পর্য হিসেবেও এর রয়েছে গুরুত্ব। দেবীমাহাত্ম্যম উল্লেখ রয়েছে, মহাদেবী মহামায়াক ত্বক বা আবরণ থেকে ঘননিশি কৌশিকীর রূপ ধারণ করেছিলেন, অন্ধকারের দেবীর শরীরে সৃষ্টি হয় আদ্যাশক্তি, রূপ নেন কৌশিকী রূপ।

Kaushiki amavasya 2023: দেবী কৌশিকী আসলে কে? সব অমাবস্যার চেয়ে এই অমাবস্যা কেন এত আলাদা?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2023 | 2:22 PM

হিন্দুধর্মে দেব-দেবীর সংখ্যা অগণিত। কথিত আছে, হিন্দুধর্মে প্রায় ৩৩ কোটি দেবদেবী বর্ণনা রয়েছে। আজ অর্থাত্‍ ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলার প্রতিটি কালী মন্দিরগুলিতে কৌশিকী অমাবস্যা পালন করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বীরভূমের তারাপীঠে তারা মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতি দেখতে, মঙ্গল কামনা করতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ভিড় করেন। তারা মা ও দেবী কৌশিকী কি একই রূপ?ভাদ্র মাসের অমাবস্যাকে কেন কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়?

দেবী কৌশিকী মহামায়ারই অন্যতম রূপ।কখনও অম্বিক, কখনও আবার মহাসরস্বতী আবার চণ্ডিকা নামেও পরিচিত। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই হিন্দুদেবী মহামায়ার রূপ হলেও তিনি অযোনিসম্ভবার শক্তির আধার। শুম্ভ-নিশুম্ভ দুই অসুর ভাইকে বধ করার জন্য কৌশিকী দেবী আবির্ভূতা হয়েছিলেন। পার্বতীর দেহকোষ থেকে আবির্ভূতা হয়েছিলেন বলেই তিনি কৌশিকী। ঘন কালো মেঘবরণের মতো আবরণ ও দেহকোষ যখন মানস সরোবরে উদ্ভূত হয়, তখন দেবীর সৌন্দর্য আলোকসমান হয়ে ওঠে। অন্যদিকে লক্ষ্মীতন্ত্রে জানা যায়, ইন্দ্রকে দেবী লক্ষ্মী জানিয়েছিলেন, তিনিই হলেন সেই শক্তি যিনি গৌরী থেকে কৌশিকী রূপ ধারণ করেছিলেন। তিনিই অসুর ভ্রাতৃদ্বয়কে বধ করেছিলেন। তাই এদিনে লক্ষ্মীদেবীরও পুজো করা হয়ে থাকে। স্কন্দ পুরাণের দেবী কৌশিকীর বর্ণনা রয়েছে। দেবীমাহাত্ম্যম উল্লেখ রয়েছে, মহাদেবী মহামায়াক ত্বক বা আবরণ থেকে ঘননিশি কৌশিকীর রূপ ধারণ করেছিলেন, অন্ধকারের দেবীর শরীরে সৃষ্টি হয় আদ্যাশক্তি, রূপ নেন কৌশিকী রূপ। কালিকা রূপ নিয়ে বধ করেছিলেন দুই অসুরকেও।

সনাতন ধর্মে কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। শাস্ত্র মতে তো বটেই, ঐতিহাসিক তাত্‍পর্য হিসেবেও এর রয়েছে গুরুত্ব। এদিন তন্ত্রসাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করার প্রয়াসে এই অমাবস্যাকেই বেছে নেন সাধু-সন্ন্যাসীরা। সাধারণত শাক্ত বাঙালিদের কাছে কালী অত্যন্ত অপরিহার্য ও কাছের দেবী। কালীর রয়েছে বিভিন্ন রূপ। কালীর প্রতিটি রূপকেই বিশেষভাবে আরাধনা করেন বাঙালিরা। ভাদ্রমাসের প্রথম অমাবস্যাকে কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়। রয়েছে পৌরাণিতক কাহিনিও। এই শুভ তিথিকে তারানিশি ও বলা চলে। সনাতন ধর্মে বিশ্বাস করা হয়, কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে বিশেষ পুজো ও রীতি মেনে দ্বারকা নদীতে ডুব দিলে বা স্নান করলে মোক্ষলাভ করা সম্ভব হয়। এমনকি কুম্ভমেলায় সিদ্ধিলাভের সমান পুণ্য পাওয়া যায়। এই মনে করেই তন্ত্র-সাধনার মাধ্যমে জীবনে সব সঙ্কট কাটাতে ও পাপ থেকে মুক্তি পেতে এই অমাবস্যায় লক্ষাধিক ভক্ত তারাপীঠ মন্দিরে ভিড় করেন।