AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Garuda Purana: শেষকৃত্যের সময় শবদেহের মাথায় লাঠির আঘাত করার কারণ জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে

Hindu Rituals: হিন্দু যাঁরা, তাঁরা শেষকৃত্যের সময় অনেক কিছু রীতি-নীতি মেনে চলেন। কপাল ক্রিয়া চলাকালীন, মৃত ব্যক্তির মাথায় একটি লাঠি আঘাত করা হয়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

Garuda Purana: শেষকৃত্যের সময় শবদেহের মাথায় লাঠির আঘাত করার কারণ জানলে হাড় হিম হয়ে যাবে
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 7:30 AM
Share

জীবনের শেষদিন কার কখন আসবে, সেদিনটি কারওরই জানা নেই। মৃত্যুর পর কী হতে পারে, কোন পথে যাত্রা, শেষকৃত্যের সময় কেন এত নিয়ম মানা হয়, সেই সব নিয়ে প্রশ্ন জাগে অনেকেরই মনে। আর সেইসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায় শুধুমাত্র গরুড় পুরাণে। হিন্দুধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ হল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। একই গরুড় পুরাণে সাধারণ মৃত্যুর পরেও কীভাবে মুক্তি লাভ করা যায় তারও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে হিন্দু ধর্মে মানুষের শেষ দিনের রীতি-আচার নিয়ে অনেক কাজ উল্লেখ করা রয়েছে। সেগুলি সাধারণত কপাল ক্রিয়াতেই উল্লেখ রয়েছে।

হিন্দুধর্মে, ১৬ ধর্মানুষ্ঠান বর্ণনা করা হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ আচার হিসাবে পরিচিত। এই আচারগুলির মধ্যে একটি হল শেষ আচার। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, শেষকৃত্যের সময় অনেক কিছু নিয়ম মেনে চলা হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় এমন কিছু কাজ মৃতের পরিবার করে থাকেন, তাতে মৃত ব্যক্তির আত্মা মুক্তি পায়। এর মধ্যে একটি হল কপাল ক্রিয়া। হিন্দু যাঁরা, তাঁরা শেষকৃত্যের সময় অনেক কিছু রীতি-নীতি মেনে চলেন। কপাল ক্রিয়া চলাকালীন, মৃত ব্যক্তির মাথায় একটি লাঠি আঘাত করা হয়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। শুনতে অদ্ভুত বলে মনে হলেও, কিন্তু এই কথাটি একেবারেই সত্য ঘটনা।

গরুড় পুরাণে এই নিয়মের যথেষ্ট কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, মানুষের শেষকৃত্য সংক্রান্ত সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন ব্যাখ্যা করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মে শেষকৃত্যের জন্য কেন এই অদ্ভুত পদ্ধতি মেনে চলা হয়, তার কারণ রয়েছে। কপাল ক্রিয়ার পিছনে দুটি কারণ বলা হয়েছে, প্রথমত ব্যক্তিকে জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত করা। অন্যদিকে, মৃত ব্যক্তির মাথার খুলি তন্ত্রমন্ত্রের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।

– কপাল ক্রিয়া করার সময়, মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা সাধারণত শোক পালন করে থাকেন। পাশাপাশি এও তাঁরা মনে করেন,যেন মৃতের দেহ থেকে আত্মা মুক্তি স্বর্গবাস করে। হিন্দু ধর্মে এই রীতি অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়। এতে করে মোক্ষ লাভ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, মাথার খুলি ভেঙ্গে গেলে একজন ব্যক্তি পরের জন্মে মৃত আত্মার সঙ্গে এই জন্মের স্মৃতিচারণ করতে সক্ষম হোন না। জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্ত হন চিরতরে। এতে সেই মৃতব্যক্তি মোক্ষ লাভ করে।

-পাশাপাশি তন্ত্রসাধনায় আবার মৃত ব্যক্তির মাথার খুলি ব্যবহার করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে তান্ত্রিকরা তাদের তন্ত্র মন্ত্রের জন্য পুরো মাথার খুলি ব্যবহার করে থাকেন। তাই তাঁরা পুরো খুলি খুঁজতে শ্মশানে ঘোরাফেরা করেন। একটি সম্পূর্ণ খুলি পাওয়ামাত্রই তাঁরা খুলি ও আত্মার অপব্যবহার করেন। তন্ত্রমন্ত্রে আত্মাকে হাতের মুঠো রেখে দেন। এর ফলে মৃতের আত্মাকে কষ্ট দেওয়া হয়। শান্তি না পেয়ে পরিবারের মধ্যে সেই আত্মা ঘুরে বেড়াতে থাকে