Mohun Bagan: লাল-হলুদে কোচ ছাঁটাই প্রবল চাপ বাড়াচ্ছে মোলিনার
Jose Molina: দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হোসে মোলিনাকে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট আশা ছিল। কোচ হিসেবে যথেষ্ট উঁচু দরের। অতীতে সাফল্যও পেয়েছেন প্রচুর। সেই মোলিনা মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও টিমকে সাফল্যের অলিন্দে এনে ফেলতে পারেননি।
কলকাতা: কিংবদন্তি কোচ সুভাষ ভৌমিক একটা কথা প্রায়ই বলতেন, ‘জিতলে পঞ্চানন, হারলে পাঁচু।’ প্রয়াত সুভাষের এই ক’টা শব্দ ময়দানে প্রবাদ হয়ে রয়েছে। যখন কোনও কোচের চাকরি যায়, তখন সুভাষের মতোই ময়দান ফিসফিসিয়ে এই কথাগুলোই বলে। সোমবার সকালে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের (Carles Cuadrat) চাকরি যাওয়া যেন ঘুরে ফিরে সেই পঞ্চানন-পাঁচু তত্ত্বকেই তুলে ধরছে। এবং কী আশ্চর্য, এই তত্ত্বে মিলেমিশে যাচ্ছেন মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচও। ব্যর্থতার দায় নিয়ে কুয়াদ্রাতের সরে যাওয়া চাপ বাড়াচ্ছে সবুজ-মেরুন কোচেরও।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে হোসে মোলিনাকে নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে যথেষ্ট আশা ছিল। কোচ হিসেবে যথেষ্ট উঁচু দরের। অতীতে সাফল্যও পেয়েছেন প্রচুর। সেই মোলিনা মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও টিমকে সাফল্যের অলিন্দে এনে ফেলতে পারেননি। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে টিমকে তুলেছিলেন ঠিকই, কিন্তু নর্থ ইস্টের কাছে টাইব্রেকারে ট্রফি খোয়াতে হয়েছে সবুজ-মেরুনকে। আর তারপর থেকে মোলিনার টিমের ডিফেন্স নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে তিনটে ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগান। ১টা জয়, ১টা ড্র, ১টা হার। বেঙ্গালুরু এফসির ঘরের মাঠে দাঁড়াতেই পারেনি বাগান ডিফেন্স। আনোয়ার আলি ক্লাব ছাড়ার পর থেকে ডিফেন্সে কোনও নেতাই তৈরি করতে পারেননি মোলিনা। ফলে বিপক্ষের তৈরি হওয়া যাবতীয় ঝড় ঝাপটা ভেঙেচুরে দিচ্ছে বাগানের রক্ষণ। এই মোলিনা এখন কঠিন পরীক্ষার সামনে। আরও ভালো করে বললে কর্তারা স্ক্যানারে রেখেছেন মোলিনাকে।
আপাতত মোলিনার সামনে দু-দুটো বড় ম্যাচ। ৫ তারিখ মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলা। লিগ টেবলে মোহনবাগানের থেকে একধাপ উপরে রয়েছে মহমেডান। এই মিনি ডার্বি কার্যত মোলিনার অ্যাসিড টেস্ট। আন্দ্রে চেরনিশভের টিমকে হারাতে না পারলে মোলিনা কিন্তু চাপ কাটাতে পারবেন না। তাতেও যে স্প্যানিশ কোচের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, বলা যাচ্ছে না। তার ঠিক পরের ম্যাচই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ১৯ অক্টোবরের ওই ম্যাচ যদি এদিক-ওদিক হয়, তা হলে মোলিনার বাগানে থাকা খুব একটা সু-মধুর হবে না। মোহন বাঁশি বিষাদের সুর বাজিয়ে দিতে পারে। এমনকি বিসর্জনেরও। তাই কুয়াদ্রাতের মতো মরসুমের শুরুতেই ছিটকে যাতে না যান, মোলিনা মরিয়া হয়ে ছক কষছেন।