বার্মিংহ্যাম : সরকারের টাকা নেই। দেশের অলিম্পিক সংস্থা তাই ব্যাডমিন্টন (Badminton) দলকে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। হতাশায় ডুবেছিলেন সে দেশের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। শেষ মুহূর্তে স্পনসর জোটে। কমনওয়েলথ গেমসে আসতে পেরেছে পাকিস্তান ব্যাডমিন্টন দল। যদিও সব দেশের অন্তত আট জনের দল। পাকিস্তান দলে মাত্র চারজন। শেষ অবধি কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিতে পারায় উচ্ছ্বসিত সে দেশের ব্যাডমিন্টন তারকা মাহুর শেহজাদ (Mahoor Shahzad)। আর সেরা মুহূর্ত? ভারতের বিরুদ্ধে খেলার শেষে পিভি সিন্ধু ( PV Sindhu) এসে হাত মেলান, সেই মুহূর্ত অনেক দামি শেহজাদের কাছে। যদিও দেশের ক্রীড়া পরিকাঠামো নিয়ে হতাশা ঢাকতে পারলেন না পাকিস্তানের এই শাটলার।
সরকারের সাহায্য নেই। বেসরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা শুধুমাত্র ক্রিকেটে ঝুঁকে। পাকিস্তানের প্রথম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকে খেলার নজির গড়েছিলেন শেহজাদ। মূলত সিঙ্গলসের খেলোয়াড় হলেও ছোট দল হওয়ায়, কমনওয়েলথে ডাবলস, মিক্সড ডাবলসও খেলতে হচ্ছে। তাঁর ডাবলস পার্টনার ঘাজালা সিদ্দিকির ক্ষেত্রেও একই বিষয়। পুরুষ দলে রয়েছেন মুরাদ আলি, ইরফান সইদ ভাট্টি। শেহজাদ বলছেন,’অন্যান্য দেশের দলে আট জন সদস্য রয়েছে। আমরা চারজন। আমি সিঙ্গলস প্লেয়ার হলেও সব ম্যাচেই খেলতে হচ্ছে। ফোকাস ধরে রাখা খুবই কঠিন।’ শেহজাদ এবং তাঁর ডাবলস পার্টনার সিদ্দিকি সরকারি চাকরি করেন। যা মাইনে পান, তা দিয়ে চলে না। শেহজাদের পরবর্তী লক্ষ্য প্যারিস অলিম্পিক। সিদ্দিকি বলছেন, পাকিস্তানের মতো দেশে, অনুশীলন করাটাও কঠিন। ভালো কোচ নেই, নিজের ব্যবস্থাপনায় ফিটনেস ট্রেনিং, জিম করতে হয়। অনুশীলনের কোনও পরিকাঠামোই নেই। পাকিস্তানে কেউ খেলতে আসে না। আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিতে পারি না। ফলে উন্নতির জায়গাও নেই। একই জায়গায় যেন থমকে আছি। অনুশীলনের জন্য বিদেশে যাই।’
সরকারি চাকরি করলেও ভারতীয় টাকায় ১৩ হাজার মাইনে পান সিদ্দিকি। ফলে নিজের খরচ এবং পরিবারকে সাহায্য করতে কোচিংও করান। সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে প্রচুর সহায়তা। আমাকে দুটো চাকরি করতে হয়। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে আমি বড়। দায়িত্বও বেশি।’ শুক্রবার অলিম্পিকে জোড়া পদকজয়ী পিভি সিন্ধুর বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পেয়েছেন শেহজাদ। অতীতে সাইনা নেহওয়ালের বিরুদ্ধে খেলেছেন। শেহজাদ বলছেন, ‘শুক্রবার ম্যাচ শেষে সিন্ধু আমার সঙ্গে হাত মেলাতে আসে। দারুণ লেগেছে আমার।’