CWG 2022: বার্মিংহ্যামে নীরজকে মিস করছেন পাকিস্তানি বন্ধু!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অভিষেক সেনগুপ্ত

Aug 05, 2022 | 7:13 PM

Commonwealth Games 2022: ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময়ই উপভোগ্য। আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। খেলা এবং ইভেন্ট যাই হোক।

CWG 2022: বার্মিংহ্যামে নীরজকে মিস করছেন পাকিস্তানি বন্ধু!
এক ফ্রেমে নীরজ ও আর্শাদ। (ফাইল ছবি)
Image Credit source: TWITTER

Follow Us

বার্মিংহ্যাম : বন্ধুত্ব দীর্ঘ দিনের। সেই ২০১৬ সাল থেকে। ট্র্যাকে প্রতিপক্ষ হলেও নীরজ চোপড়ার সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক, এমনটাই বলছেন পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার আর্শাদ নাদিম (Arshad Nadeem)। ভারতের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন নীরজকে (Neeraj Chopra) কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2022) মিস করবেন, এমনটাই বলছেন আর্শাদ। বার্মিংহ্যাম গেমসের আগে অ্যাথলেটিক্স বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো পেয়েছেন নীরজ। ৮৮.১৩ মিটার ছুড়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন নীরজ। আর্শাদ শেষ করেছিলেন পঞ্চম স্থানে। পাকিস্তানের প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ার হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন আর্শাদ।

কুঁচকির চোটে শেষ মুহূর্তে কমনওয়েলথ গেমস থেকে সরেছেন নীরজ। থাকছেন বিশ্বের এক নম্বর জ্যাভলিন থ্রোয়ার অ্যান্ডারসন পিটার্স। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন যিনি। কমনওয়েলথ গেমসেও সোনার দৌড়ে ফেভারিট অ্যান্ডারসনই। পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার আর্শাদ মিস করছেন নীরজকে। পাক অ্যাথলিট বলছেন, ‘নীরজ আমার ভাইয়ের মতো। এখানে ওকে মিস করব। প্রার্থনা করি, ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। ফের ওর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চাই।’

ভারত-পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবসময়ই উপভোগ্য। আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে। খেলা এবং ইভেন্ট যাই হোক। নীরজ এবং আর্শাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছিল ২০১৬-তে। গুয়াহাটিতে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন নীরজ। আর্শাদ পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ। পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার বলছেন, ‘নীরজ মানুষ হিসেবে খুবই ভালো। শুরুর দিকে তেমন কথা হত না। এখন পরস্পরকে খুব ভালো চিনি। আমাদের খুবই ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। চাইব, ও এভাবেই ভারতের হয়ে ভালো পারফর্ম করে যাক, আমি পাকিস্তানের হয়ে। আমরা পরিবারের মতো।’ ভারতে আবারও নামার সুযোগ হবে, আশাবাদী আর্শাদ। আরও বলছেন, ‘নীরজ ভাই নিজের দেশে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছে। আমিও সরকার এবং জনগণের সমর্থন পাচ্ছি।’

ওয়াঘার এপার-ওপারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, খেলাধুলোয় তার প্রভাব পড়ে না। ক্রিকেট থেকে অ্যাথলিট— সকলেই একে অপরের বন্ধু। বাইশ গজে অবশ্য রাজনীতির প্রভাব পড়েছে। অন্য়ান্য খেলাধুলোও কমে গিয়েছে। তা হোক, দু’দেশের প্লেয়াররা এখনও সেই বন্ধুত্বের পতাকাই বয়ে বেড়াচ্ছেন।

Next Article