দুবাই: গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ এখন বেশ নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু করোনা বিশ্ব থেকে বিদায় নিয়েছে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, স্বস্তির সময় এখনও আসেনি। তাই সাবধানের মার নেই। সাবধানে পা ফেলতে চাইছে বিশ্ব ক্রিকেটার নিয়ামক সংস্থা আইসিসি (ICC)। আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) মেয়েদের বিশ্বকাপ (Women World Cup)। সেখানে করোনা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপের ভাবনা আইসিসি’র। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বড় হানা দিয়েছিল করোনা। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় (India) দলের অধিনায়ক সহ প্রায় ৭ ক্রিকেটার একটা সময় করোনার জন্য বাইরে চলে গিয়েছিলেন। মাত্র ১১ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে ম্যাচ খেলতে হয়েছে ভারতকে। হাতে ছিল না একজন সাবস্টিটিউট ক্রিকেটার। কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে কম ক্রিকেটার নিয়ে খেলার অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল ভারত। সেই অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিউজিল্যান্ডে মেয়েদের বিশ্বকাপে প্রয়োজন সাপেক্ষে নাইন এ সাইড ম্যাচের অনুমতি দিল আইসিসি।
১১ জনের বদলে ৯ জন ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামার নিয়ম আছে আইসিসির সংবিধানে। এবার সেই নিয়মকেই কাজে লাগাতে চলেছে আইসিসি। করোনা (Corona) সংক্রমণের জন্য এই ব্যবস্থা নিতে চলেছে আইসিসৎ শুধুমাত্র যে নয় জন ক্রিকেটার নিয়ে ম্যাচ খেলার অনুমতি পাওয়া যেবে এমনটা নয়। পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচিং টিমের ২জন সদস্য শুধু মাত্র ফিল্ডিং করতে পারবেন প্রয়োজনে। তবে তাঁদের ব্যাটিং বা বোলিং করার অধীকার থাকবে না। এমনটাই জানিয়েছেন আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি।
মার্চ মাসের ৪ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। করোনার কথা মাথায় রেখে সব দলের কাছে আইসিসির আবেদন, সব দিক থেকে যেন দল গুলি তৈরি থাকে। করোনার কথা মাথায় রেখেই দলগুলি কয়েকজন বাড়তি ক্রিকেটার দলের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে। ক্রিস টেটলি জানিয়েছে, “আমার দলগুলিকে বলেছি সর্বোচ্চ পর্যায়ের জন্য তৈরি থাকতে। শুধু দলগুলি নয়, আমরাও নিজেদের সেভাবেই তৈরি করে রাখছি। আমাদের সবার একটাই লক্ষ্য টুর্নামেন্ট সফল ভাবে শেষ করা।” ১৫ জনের দলের সঙ্গে আরও বাড়তি তিনজন ক্রিকেটার দলের সঙ্গে রাখার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তবে দল গুলি চাইলে আরও দু-একজন ক্রিকেটারকে সঙ্গে রাখতে পারে তারা। আইসিসির কাছে সেই মর্মে আবেদন করতে পারে দলগুলি।
আরও পড়ুন : Ranji Trophy: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও ত্রাতা অভিষেক