বাংলার প্রথম। আইপিএলে নতুন পথচলা শুরু এক বাঙালি আম্পায়ারের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মরসুম শুরু হয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের হোম ম্যাচ খেলছে বিশাখাপত্তনমে। বাংলা ক্রিকেটের জন্য একদিকে যেমন গর্বের মুহূর্ত, কিছুটা অস্বস্তিরও। বাংলার চার প্রতিনিধি বিশাখাপত্তনমের মাঠে। তিন-জন প্লেয়ার একজন আম্পায়ার। বাংলার প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইপিএলে অন ফিল্ড দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। আর সেই ম্যাচেই হতাশা বাংলার ব্যাটারকে নিয়ে।
দিল্লি ক্যাপিটালসে খেলেন বাংলার কিপার ব্যাটার অভিষেক পোড়েল। গত মরসুমে দিল্লিতে পন্থ থাকায় ব্যাটার হিসেবে খেলেছেন। ঋষভের অনুপস্থিতিতে কিপিংও করেছিলেন। তাঁর পারফরম্যান্স ভরসা দিয়েছিল। বেশ কিছু বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন অভিষেক পোড়েল। এ মরসুমের শুরুটা ভালো হল না। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই ব্যাটার এ দিন ২টি ডেলিভারি সামলান। রানের খাতা খুলতে পারেননি।
বাংলার আরও দুই প্রতিনিধি দিল্লির পেসার মুকেশ কুমার ও লখনউয়ের অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। মুকেশ কুমার গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে হতাশা হলেও আম্পায়ারিংয়ে অবশ্য সমীহ আদায় করে নিলেন বাংলার প্রতিনিধি অভিজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর একের পর এক সঠিক সিদ্ধান্ত। একটা উদাহরণই ধরা যাক। লখনউয়ের বিদেশি ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদনে নটআউট দিয়েছিলেন। রিভিউ নেয় দিল্লি। কিন্তু লাভ হয়নি। অভিজিতের সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণ হয়।
তেমনই আইপিএলের বদল বদলের যে নিয়ম চালু হয়েছে, সেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন বাংলার আম্পায়ার। শিশিরের প্রভাব বেশি থাকায় বল বদলের আবেদন করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সেই আবেদন মেনে নেওয়া হয় ১৩তম ওভারে। সব মিলিয়ে আম্পায়ারিংয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। আরও একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়, অভিষেক পোড়েল ও অভিজিৎ ভট্টাচার্য দু-জনেই চন্দননগরের।