লখনউ: হঠাৎই যেন ফিনিক্স হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। শুরুটা হয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। এরপর দুই প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। এর আগের দুটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছিল আফগানিস্তান। ভারতের মাটিতে ইতিমধ্যেই তিনটি জয়। ছয় ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে খুব ভালো ভাবেই রয়েছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানের জয় চাপে ফেলেছে তথাকথিত বড় দলগুলিকেও। আজ লখনউতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে নামছে আফগানিস্তান। এই ম্যাচের ওপর আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল অনেকটাই নির্ভর করবে। তেমনই নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়ারও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
মাল্টি নেশন টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের রেকর্ড কোনওদিনই ভালো ছিল না। সেটা এশিয়া কাপই হোক কিংবা বিশ্বকাপ। এ বারও প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হার। সেখান থেকে আফগানিস্তান এমন চমকে দেওয়া পারফরম্যান্স করবে, কেউই ভাবেননি। কোচ জোনাথন ট্রটের সঙ্গে পর্দার আড়ালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন অজয় জাডেজা। বিশ্বকাপের ঠিক আগেই ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে মেন্টর হিসেবে নিয়োগ করেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। টিম মেম্বারদের সঙ্গে তিনি কত ভালো ভাবে মিশে গিয়েছেন, ড্রেসিংরুমের বিভিন্ন ভিডিয়োতেও প্রকাশ পেয়েছে।
আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণ বরাবরই ভালো। বিশেষ করে বলতে হয়, স্পিন বোলিংয়ের কথা। রশিদ খান, মুজিব উর রহমানরা রয়েছেন। অভিজ্ঞ মহম্মদ নবির কথা ভুললে চলবে না। প্রয়োজনে খেলানো হতে পারে বাঁ হাতি চায়নাম্যান নুর আহমেদকেও। গত কয়েক ম্যাচে নজর কেড়েছে তাদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। এর আগে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যেত অতিরিক্ত তাড়াহুড়োয় অনেক কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরত তারা। বিশ্বকাপে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জিতেছে আফগানিস্তান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ উইকেট এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়। এ বার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়ের হ্যাটট্রিকেই নজর আফগানদের।
এ বারের বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের সেরা প্রাপ্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে ভালো পারফর্ম করলেও সাফল্যের মুখ দেখছে না তারা। গত ম্যাচে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খুবই কঠিন নেদারল্যান্ডসের কাছে। তবে এখান থেকে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যোগ্যতা অর্জন সম্ভব। নেদারল্যান্ডসের নজরে এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই।