ইন্দোর: বর্ডার গাভাসকর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) তৃতীয় টেস্টে জিতে সিরিজে ফিরল অজিরা। প্রথম দুই টেস্টে তীব্র ভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে স্টিভ স্মিথদের। আড়াই দিনে তৃতীয় টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর সমালোচনার মুখে ইন্দোরের পিচ। প্রথম দিন থেকেই পিচে প্রবল ঘূর্ণি। এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার। বিতর্কিত পিচ নিয়ে এ বার রায় দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা বা আইসিসি (ICC)। পিচ, আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেসে কত নম্বর দিল ইন্দোরের বাইশ গজকে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
আইসিসির মতে পিচের রেটিংয়ের পাঁচটি ধাপ আছে। যেগুলি হল খুব ভালো, ভালো, গড়পড়তা, মান ছুঁতে না পারা, খারাপ, খুব খারাপ। ম্যাচ অফিসিয়াল এবং দুই দলের অধিনায়কের সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা সেরেছেন আইসিসি ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড। আলোচনা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে আইসিসিকে। সেই রিপোর্ট দেখে এই পিচকে তাঁরা ‘খারাপ’ বলে গণ্য করেছেন। ইন্দোরের এই স্টেডিয়ামকে তিনটি ‘ডি মেরিট’ পয়েন্ট দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই রিপোর্ট ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা অর্থাৎ বিসিসিআইকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের হাতে ১৪ দিন রয়েছে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য। উক্ত ওই রিপোর্টে ম্যাচ রেফারি ব্রড লিখেছেন, “পিচ খুবই শুকনো ছিল। ব্যাট এবং বলের কোনও ভারসাম্যই দেখা যায়নি। প্রথম থেকেই স্পিনাররা সাহায্য পেয়েছে। ম্যাচের পঞ্চম বলেই পিচ ভাঙতে শুরু করে। এরপর খেলা যত গড়িয়েছে, অবস্থা তত খারাপ হয়েছে। পিচে অসম বাউন্স ছিল।”
ব্রডের এই রিপোর্ট যে বেশ কড়া, সন্দেহ নেই। এমনিতে নাগপুর ও দিল্লি টেস্ট তিনদিনে শেষ হওয়ার পর বলা হচ্ছিল, ইন্দোরে যাতে পাঁচদিন খেলা গড়ায়, সেই কথা মাথায় রেখেই পিচ বানিয়েছেন কিউরেটর। তা উল্টোটাই দেখা গিয়েছে। অতীতে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন পিচ সম্পর্কে রেটিং দিয়েছে আইসিসি। ২০১৮ সালে জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সও কিছুটা এরকম তকমা পেয়েছিল। ইন্দোরের পিচকে খারাপ বলে আখ্যা দিলেও, ওয়ান্ডারার্সকে খুব খারাপ বলে রেটিং দিয়েছিল আইসিসি।